সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্যশস্যের অভাব। কারণ, বিশ্বের বহু দেশে খাদ্যশস্য রপ্তানি করে কিয়েভ। সম্প্রতি এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রুশ হামলার জেরে খাদ্য, জ্বালানি বা আর্থিক কোনও না কোনও সংকটের মুখে পড়েছে ১৬০ কোটি মানুষ। ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে ধাক্কা খেয়েছে গোটা দেশ। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার শস্য নিয়ে ইউক্রেন থেকে রওনা দিয়েছে প্রথম জাহাজ।
তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, এদিন কৃষ্ণসাগরের ওডেসা বন্দর থেকে খাদ্যশস্য নিয়ে রওনা দিয়েছে পণ্যবাহী জাহাজ ‘রাজোনি’। ইস্তানবুল হয়ে জাহাজটির গন্তব্য লিবিয়ার ত্রিপোলি বন্দর। এক বিবৃতিতে তুরস্কের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “ওডেসা বন্দর থেকে খাদ্যশস্য নিয়ে রওনা দিয়েছে রাজোনি। ২ আগস্ট ইস্তানবুল পৌঁছবে জাহাজটি। সেখানে রুটিন নিরীক্ষণের পর জাহাজটি লিবিয়ার ত্রিপোলি বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবে। আগামী দিনে ইউক্রেন থেকে এমন আরও পণ্যবাহী জাহাজ রওনা দেবে।” জাহাজটিতে প্রায় ২৬ হাজার টন ভুট্টা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের পরিকাঠামো মন্ত্রী ওলেকসান্দ্র কুবরাকোভ।
[আরও পড়ুন: ফরাসি নৌসেনার সঙ্গে মহড়ায় ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ, আটলান্টিকে শক্তিপ্রদর্শন ভারতের]
ইউরোপের খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত ইউক্রেন (Ukraine)। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বহু দেশে খাদ্যশস্য রপ্তানি করে কিয়েভ। সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রুশ হামলার জেরে খাদ্য, জ্বালানি বা আর্থিক কোনও না কোনও সংকটের মুখে পড়েছে ৯৪টি দেশের ১৬০ কোটি মানুষ। চরম দুর্দশা দেখা দিয়েছে আরও ১২০ কোটি মানুষের জীবনে। সবমিলিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে ধাক্কা খেয়েছে গোটা বিশ্ব। কারণ, ইউক্রেনের বন্দরগুলিতে রুশ অবরোধের জেরে থমকে ছিল শস্য রপ্তানি। সেই সমস্যার সমাধান করে ২২ জুলাই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে মস্কো ও কিয়েভ। সেখানে কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলি থেকে খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে সবুজ সংকেত দেয় মস্কো।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া (Russia)। কিন্তু এখনও কিয়েভ দখল করতে পারেনি তারা। লড়াইয়ে কয়েক হাজার সেনা ও বিপুল অস্ত্র খুইয়ে গত এপ্রিলে সামরিক অভিযানের প্রথম পর্বে ইতি টানার কথা ঘোষণা করে রাশিয়া। ইতিমধ্যে, মারিওপোল দকঝল করেছে রুশ বাহিনী। দোনবাস অঞ্চলে অভিযান আরও তীব্র করে তুলেছে পুতিনের বাহিনী। এখনও দোনবাসের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে ইউক্রেনীয় ফৌজের।