সুব্রত বিশ্বাস: সপ্তমীর সকালেই মাথায় হাত ব্যবসায়ীর। মোক্ষম সময়ে প্রায় দশ লক্ষ টাকার মাছ মারা গেল পুকুরে। লিলুয়ার রেলের পুকুরে এই ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন পুকুর লিজ নেওয়া ব্যবসায়ী বুলবুল চৌধুরী।
তাঁর অভিযোগ, রেলের আবাসনের নিকাশি বর্জ্যে পুকুরের জল দূষিত হয়ে এই মাছ মারা গিয়েছে। সপ্তমীর দিন সুবিশাল ঝিলে এই মাছের মড়কে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে বলে আবাসিকরা অভিযোগ তুলেছেন। টেন্ডার নেওয়া ব্যক্তি জানিয়েছেন, “পুকুরের পাশে মাটি কেটে মাছ চাপা দেওয়ার কাজ চলছে। অসুবিধা হচ্ছে জানি, তড়িঘড়ি কাজ চালানো হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন : বিজেপির যুব মোর্চার সব জেলা কমিটি বাতিল, আচমকাই ঘোষণা রাজ্য সভাপতির]
সম্প্রতি রেলের হাওড়া ডিভিশন পুকুরটি ৬ লক্ষ টাকায় টেন্ডার দেয়। জিএসটি আরও এক লক্ষের উপরে সঙ্গে পাঁচ বছরের অ্যাডভান্স আরও তিন লক্ষ সত্তর হাজার টাকা। টেন্ডার নেওয়াদের পক্ষে বুলবুল চৌধুরী বলেন, “এত টাকা দিয়ে পুকুরটি নিয়ে তাতে পাঁচ লক্ষ টাকার মাছ ছাড়ার পর এই ক্ষতি হয়ে গেল। শুধু রেলের গাফিলতিতে। নিকাশি নর্দমার সংযোগ থাকায় জল দূষিত হয়ে মাছের এই মড়ক।”
উল্লেখ্য, ১৯১৩ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পুকুরটি সাউথ ট্যাংক আংলিং ক্লাব কো অপারেটিভ সংস্থার নামে চলত। ছিপ দিয়ে মাছ ধরা হত। এরপর বছর পাঁচেক রেলকর্মীদের কো-অপারেটিভ সোসাইটি পুকুরটি লিজ নেয়। এরপর ব্যক্তিগতভাবে পুকুরটিকে রেল থেকে লিজ নেয়। সম্প্রতি ই-টেন্ডারে লিজ দেওয়ার পর মাছ ছাড়তেই এই বিপত্তি। রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং এর কর্তার কথায়, “ব্যবসায়ী অভিযোগ আনেননি। পাশাপাশি নিকাশি নালা ট্যাংকের সঙ্গে যুক্ত শতবর্ষ আগে থেকেই। এজন্য তাদের কোনও দায়বদ্ধতা নেই চুক্তি অনুযায়ী।”