সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বাঙালির রসনাতৃপ্তির উপাদান হাজির। মরশুমের প্রথম ইলিশ (Hilsa) ঢুকল ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্রবাজার মাছের আড়তে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রায় আড়াই থেকে তিন টন ইলিশ মাছ ঢুকেছে আড়তে। তাতেই উচ্ছ্বসিত মৎস্যজীবী থেকে আড়তদাররা। এই মরশুমে ভাল ব্যবসার আশা করছেন তাঁরা।
ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) আড়ত সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ধরা পড়া ইলিশগুলির গড় ওজন ৪৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম। পাইকারি বাজারে এর দাম কেজি প্রতি ৬০০ টাকা। আসলে, গত তিন বছর মৎস্যজীবীদের (Fisherman) জালে সেভাবে ইলিশ ধরা পড়েনি। বুধবার থেকে সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা উঠেছে।তারপরই মৎস্যজীবীরা ট্রলার নিয়ে নেমে পড়েছেন। সমস্ত ট্রলার না বেরলেও কিছু ট্রলার ইলিশের খোঁজে পাড়ি দিয়েছে।
আর প্রথম দিনই রুপোলি শস্যে আশার আলো। অন্তত তিন টন ইলিশ এল জালে। সাধারণত গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরে ফিরতে অন্তত তিনদিন সময় লাগে। যে ট্রলারগুলি বৃহস্পতিবার রাতে ডায়মন্ড হারবারের ঘাটে ভিড়েছে, সেগুলি সমুদ্রের মোহনায় পৌঁছনোর আগেই যে ওই ইলিশ জালবন্দি করেছে, তা স্পষ্ট। মরশুমের শুরুতেই এত ইলিশ পেয়ে আশার আলো দেখছেন মৎস্যজীবী থেকে আড়তদাররা।
[আরও পড়ুন: ‘অগ্নিপথ’ বিক্ষোভের আঁচ এবার বাংলাতেও, সাতসকালে একাধিক স্টেশনে বিক্ষোভ, ব্যাহত ট্রেন পরিষেবা]
এদিকে, ইলিশ ওঠার খবরে বাজারেও তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। রসনাতৃপ্তির অপেক্ষায় মুখিয়ে রয়েছেন আমজনতাও। তবে ইলিশগুলি বাজারে আরও বেশি দামে বিক্রি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও ইলিশের মরশুমে তৃপ্তি করে মাছ খেতে গাঁটের বাড়তি কড়ি গুনতে তেমন আপত্তি নেই কারওই। এদিকে ব্যবসায়ীরাও চাঙ্গা। রুপোলি শস্যের হাত ধরেই মাছ ব্যবসায় ৩ বছরের খরা কাটবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন।