সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাছ ধরার জন্য নৌকা নিয়ে সমুদ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন একদল মৎস্যজীবী। কেরলের কোঝিকোড়ের কাছে মৎস্যের সন্ধানের সময়েই এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন তাঁরা। আর তার চেয়েও বড় কথা, প্রকৃতির উপর জীবজগতের প্রতিটি সদস্যের যে সমান অধিকার, নিজেদের মানবিকতা দিয়ে সেই বার্তা আবারও দিলেন কোঝিকোড়ের এই মৎস্যজীবীরা। নৌকায় উঠে আসা বিরল প্রজাতির এক হোয়েল শার্ককে ফিরিয়ে দিলেন জলে। অথচ তাকে বিক্রি করলে লক্ষ কোটি টাকা হাতে আসত তাঁদের। কিন্তু অর্থের লোভ না করে প্রকৃত মানুষের মতো আচরণ করলেন তাঁরা। কেরলের মৎস্যজীবীদের এই পদক্ষেপ এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল।
সম্প্রতি টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, আচমকাই মৎস্যজীবীদের একটি নৌকায় উঠে এসেছে পেল্লাই আকারের হাঙর। তার চেহারাও কিছুটা আলাদা। কালো মসৃণ গাত্রে সাদা সাদা বিন্দু, ডোরাকাটা দাগ। লম্বায় প্রায় ৪০ ফুট। দেখেই তাঁরা বুঝতে পারেন যে চিরাচরিত হাঙর এটি নয়। বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে দেখতে পান, সত্যি! এ তো যে সে হাঙর নয়। এ একেবারে বিরলের মধ্যেও বিরলতম প্রজাতির হোয়েল শার্ক, সংরক্ষিত জলজ প্রাণীদের তালিকায় একেবারে শীর্ষে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন বিরল একটি প্রাণী বিশেষ দেখা যায় না। বিরল হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে এর অর্থমূল্যও প্রচুর। কোঝিকোড় উপকূলে এ ধরনের হাঙর কীভাবে এল, তা নিয়েও প্রশ্ন জাগে তাঁদের মনে।
[আরও পড়ুন: ৪ কিলোমিটার বরফের রাস্তা হেঁটে বিয়ের আসরে যুবক, প্রেমের জোয়ারে ভাসছে নেটদুনিয়া]
মৎস্যজীবীর দল এসব দেখেশুনে সিদ্ধান্ত নেন, বড়সড় হাঙরটিকে জলেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এরপর শুরু হয় ফেরানোর কাজ। মাছ ধরার ছোট নৌকা থেকে দড়ি বেঁধে তাকে জলে নামিয়ে দেওয়া হয়। হাত লাগান আরও অনেকেই। কিন্তু ৪০ ফুট লম্বা হোয়েল শার্ককে তো ফিরিয়ে দেওয়া মুখের কথা নয়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় তাঁরা সফল হন। জল থেকে উঠে আসা বিরলতম প্রাণীটি ফিরে গেল জলে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন মৎস্যজীবীরা।
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত ইউহান সফরের পরিকল্পনা, মহিলাকে রক্ষা করল পোষ্যের উপস্থিত বুদ্ধি]
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হতেই রীতিমতো প্রশংসা কুড়চ্ছে ওই মৎস্যজীবীর দল। সংরক্ষিত শ্রেণির প্রাণীটিকে স্বস্থানে ফিরিয়ে নেটদুনিয়ায় ‘হিরো’ তাঁরা। তাঁদের কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে।
The post শত প্রলোভন উপেক্ষা! বিরল প্রজাতির হাঙরকে সমুদ্রে ফিরিয়ে প্রশংসিত মৎস্যজীবীর দল appeared first on Sangbad Pratidin.