সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যালেস্টাইন জঙ্গি ভেবে 'প্রেস' লেখা গাড়িতে বোমাবর্ষণ ইজরায়েলের বিমানবাহিনীর! গাজায় একসঙ্গে মৃত্যু ৫ সাংবাদিকের। কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল, যুদ্ধবিরতি নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়েছে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে। কিন্তু এখন চুক্তি করতে বিলম্ব হওয়া নিয়ে একে অপরকে দুষছে দুপক্ষ। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জারি রয়েছে মৃত্যুমিছিল।
বিবিসি সূত্রে খবর, আজ বৃহস্পতিবার মধ্য গাজার আল-আওদা হাসপাতালের সামনেই পার্ক করা ছিল সাংবাদিকদের গাড়িটি। ওই ৫ জনের মধ্যে একজনের স্ত্রী সন্তান প্রসবের জন্য ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু সন্তানের মুখ দেখার আগেই সব শেষ। প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অভিযোগ, সাংবাদিকদের গাড়ির বোমাবর্ষণ করে ইজরায়েলি বিমানবাহিনী। সেখানেই প্রাণ হারান ৫ জন।
এই হামলা নিয়ে মুখ খুলেছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেসও। তাদের দাবি, গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছিল, ওই গাড়িটি জঙ্গি সংগঠন প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জেহাদের (পিআইজে)। তারা যাতে কোনও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাতে না পারে সেজন্য হামলা চালানো হয়। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস’(আরএসএফ) এক রিপোর্ট প্রকাশ করে। এই আন্তর্জাতিক সংগঠনটি বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করে। আরএসএফের রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে কাজ করতে গিয়ে বিশ্বজুড়ে ৫৪ জন সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তালিকায় সব থেকে উপরে রয়েছে গাজার নাম। সেখানে ইজরায়েলি সেনার রক্তক্ষয়ী অভিযানে নিহত ১৬ জন সাংবাদিক। এদিনের ঘটনায় এই নিহতের সংখ্যাটা আরও বাড়ল।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল, যুদ্ধবিরতি ও পণবন্দিদের মুক্তি নিয়ে চুক্তি করতে কয়েকধাপ এগিয়েছে হামাস ও ইজরায়েল। দুপক্ষের আলোচনায় মিলেছে সবুজ সংকেত। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর যুদ্ধবিরতির জন্য লাগাতার মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিশর, সৌদি আরবের মতো দেশ। গাজা যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে থাকলেও যুদ্ধবিরতির বৈঠকে নিয়মিত যোগ দিচ্ছে আমেরিকা। এবারেও মিশরের কায়রোতে আলোচনায় বসেছিল হামাস ও ইজরায়েলের প্রতিনিধিরা। দুপক্ষের বৈঠক সদর্থকও হয়। কিন্তু বাস্তবে যে যুদ্ধ এখনই থামছে না তা ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গেল এই ঘটনায়।