সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি। দুর্যোগের পূর্বাভাস পেয়ে ফেরার পথেই কেঁদো দ্বীপ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে উলটে গিয়েছে ট্রলারটি। নিখোঁজ ১৩ জন মৎস্যজীবী। বাকি পাঁচজনের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
জানা গিয়েছে, ১৬ আগস্ট অর্থাৎ মঙ্গলবার কাকদ্বীপ থেকে রওনা দেয় ট্রলার এফবি সত্যনারায়ণ। তাতে মোট ১৮ জন মৎস্যজীবী ছিলেন বলে খবর। আরও একাধিক ট্রলার গিয়েছিল। নিম্নচাপের কারণে ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ফলে গভীর সমুদ্র থেকে একে একে ফিরছিল ট্রলারগুলি। প্রায় সকলেই আশ্রয় নিচ্ছিল কেঁদো দ্বীপে। কিন্তু ঘটনাচক্রে এফবি সত্যনারায়ণ নামে ট্রলারটি দেরি করে ফেলেছিল। শুক্রবার সকালে গভীর সমুদ্র থেকে কেঁদো দ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রলারটি।
[আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে আরও বিপাকে বিজেপি নেতা শাহানওয়াজ হুসেন, মামলার অনুমতি আদালতের]
কেঁদো দ্বীপে আসার পথেই দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, দ্বীপের ১২ কিলোমিটার দূরে চরে ধাক্কা লেগে ফুটো হয়ে যায় ট্রলারটি। এরপরই ঢুকতে শুরু করে জল, উলটে যায় ট্রলারটি। ইতিমধ্যেই উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ থেকে বেশ কিছু ট্রলার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। চলছে উদ্ধার কাজ। কিন্তু আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে আদৌ এখনও পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করা গিয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
এবিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশানের সহ-সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, “নিম্নচাপের জেরে সমস্ত ট্রলারই কেঁদো দ্বীপে আশ্রয় নিয়েছে। আজকে সকালে ফেরার সময় উলটে গিয়েছে ট্রলারে। উদ্ধার কাজ চলছে। কিন্তু আবহাওয়া প্রতিকূল তাই যোগাযোগে সমস্যা দেখা দিয়েছে। পাথরপ্রতিমা ও কেঁদো দ্বীপে আশ্রয় নেওয়া ট্রলারের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।