সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে কংগ্রেসে আরও ভাঙন। হাত ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিলেন শঙ্কর সিং ও অরিন্দম ভট্টাচার্য। দুই বিধায়ক দলবদল করায় নদিয়া জেলায় কংগ্রেসের আর চিহ্ন থাকল না। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বর ইঙ্গিত, আরও কয়েকজন বিরোধী বিধায়ক শাসক দলে পা বাড়িয়ে রয়েছেন। দুই বিধায়কের দলবদল করলেও, এখনই তাঁরা ইস্তফা দিচ্ছেন না। দলত্যাগীদের বক্তব্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও রাজ্যের অখণ্ডতা রক্ষায় লড়াই চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লড়াইয়ে তারা পাশে থাকতে চান।
[দশম দিনেও অচল পাহাড়, খাদ্যসংকটেও পিছিয়ে আসতে নারাজ মোর্চা]
বেশ কিছু দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। প্রদেশ রাজনীতিতে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তেমন বনিবনা হচ্ছিল না শঙ্কর সিং ও অরিন্দম ভট্টাচার্যের। গত কয়েক মাসে দলের একাধিক কর্মসূচিতে সেভাবে দেখা যায়নি দুই বিধায়ককে। প্রবল তৃণমূল হাওয়াতেও গত বিধানসভা ভোটে রানাঘাট উত্তর পশ্চিম থেকে জিতেছিলেন শঙ্কর সিং। শান্তিপুরের দাপুটে নেতা অজয় দেকে ভাল মার্জিনে হারিয়েছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। শেষ পর্যন্ত দুই বিধায়কই শিবির বদলালেন। বুধবার তৃণমূল ভবনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন দুই বিধায়ক।
[বিরোধীদের মনোনীত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হচ্ছেন মীরা কুমার]
২০১৬র মে মাসে তৃণমূল দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসে। গত বছরের ২১ জুলাই থেকে বিরোধী শিবিরের অনেক বিধায়কদের অনেকেই ঘাসফুলে শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে নদিয়া থেকে জিতেছিলেন তিন বিধায়ক। মাস কয়েক আগে নদিয়ার কালীগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক হাসানুজ্জামান তৃণমূলে যোগ দেন। এবার রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের শঙ্কর সিং ও শান্তিপুরের অরিন্দম ভট্টাচার্য তৃণমূলে চলে আসায় নদিয়া জেলায় কংগ্রেস সাইনবোর্ডে পরিনত হল। রানাঘাট থেকে একাধিকবার বিধায়ক হয়েছেন শঙ্কর। পাশাপাশি তিনি ছিলেন নদিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি। অরিন্দম প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতির পদে ছিলেন। কংগ্রেসের দুই প্রথম সারির নেতা তৃণমূলে এসে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। শঙ্কর সিংকে নদিয়া জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে। অরিন্দমকে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে আনা হল। শঙ্করদের পাশাপাশি নদিয়া জেলার বেশ কয়েকজন বাম ও কংগ্রেস কাউন্সিলর দলত্যাগ করেছেন। এই দলবদলে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১১ থেকে বেড়ে হল ২২১। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৪৪ থেকে কমে হল ৩৬। এই দলবদলে আবদুল মান্নানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মান্না আর কতদিন বিরোধী দলনেতার পদে থাকতে পারবেন তা নিয়ে কৌশলী মন্তব্য করেছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি। দুই দলত্যাগী বিধায়ক কি ইস্তফা দেবেন। এর জবাবে শঙ্কর সিং জানিয়েছেন দলীয় নেতৃত্বর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন। দলবদলের ক্ষেত্রে তাঁর ব্যাখ্যা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করছেন। রাজ্যের অখণ্ডতার জন্যও তাঁর ভূমিকা অগ্রগণ্য। এই লড়াইয়ের শরিক হতেই দলত্যাগ বলে জানিয়েছেন শঙ্কর।
The post কংগ্রেসে আরও ভাঙন, তৃণমূলে শঙ্কর সিং ও অরিন্দম ভট্টাচার্য appeared first on Sangbad Pratidin.