শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: দশমীর রাতে ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল পাঁচ যুবকের। ঘটনায় গুরুতর আহত এক। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের রামগঞ্জ এলাকায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের। বাকি দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ঘটনায় মৃতদের পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।
মৃতদের নাম নিমাই দাস (২৩), পরিতোষ দাস (২২), প্রত্যুষ দাস (১৮), ভোলা প্রসাদ (২১) ও মিঠুন বসাক (২৩)। মৃত প্রথম তিনজন চোপড়ার চুটিয়াখোর পঞ্চায়েতের শীতলাগছের বাসিন্দা। বাকি দুইজনের বাড়ি ইসলামপুরের রামগঞ্জের বসাক পাড়ায়। রামগঞ্জের বসাক পাড়ার তেইশ বছরের মানিক বসাক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে রামগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকার সাপনিকলা বনাঞ্চল এলাকায় দুটি বাইকের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। অভিঘাতে প্রত্যেকেই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা জখমদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে তিনজনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পথে দুজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মর্গে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তাঁরা। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বাইক দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুর থানার রামগঞ্জের বসাক পাড়ার তিন যুবক বাইকে চেপে চোপড়া এলাকার ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে, চোপড়ার শীতলাগাঁও এলাকার তিন যুবক বাইকে করে ইসলামপুর শহরের ঠাকুর দেখতে বের হন। রাত এগারোটা নাগাদ ৬ যুবক বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় দুর্ঘটনা।
ইসলামপুর হাসপাতালে প্রত্যুষের দেহ জড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে দাদা মলয় দাস বলেন," রাত বারোটা নাগাদ দুর্ঘটনায় খবর জানতে পারি। কিন্তু ভাই এভাবে ছেড়ে চলে যাবে এটা ভাবতে পারিনি।" ইসলামপুরের রামগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, "ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।" পুলিশের প্রাথমিক অনুমান যুবকরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।