সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগে অস্বস্তি বাড়ল ডোনাল্ড ট্রাম্পের। পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প শাস্তি থেকে অব্যহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে সে আর্জি খারিজ করে সোমবার আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, উনি রাষ্ট্রপতি পদে বসলেও রক্ষাকবচের কোনও প্রশ্নই নেই। সব মিলিয়ে কুর্সিতে বসার আগেই চাপ বাড়ল ট্রাম্পের।
২০১৭ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিতর্কের সূত্রপাত তারও আগে। ২০০৬ সালে স্টর্মির সঙ্গে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক হয়েছিল বলে দাবি। অভিযোগ, বিষয়টা চেপে দিতে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টর্মিকে এক চুক্তিতে সই করানো হয়েছিল। এমনকী ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার ঘুষও দেওয়া হয়েছিল। টাকা দিতে গিয়ে নথি জাল করারও অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের আইনজীবীর বিরুদ্ধে। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্টর্মি যা অভিযোগ করেছেন, তা বার বারই খণ্ডন করেছেন বর্ষীয়ান নেতা। এর পরই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, আমেরিকার ইতিহাসে প্রথমবার। সেই সাজা খারিজের আবেদন জানান ট্রাম্পের আইনজীবীরা।
এই মামলায় আদালতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার কথা তুলে ধরেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। যেখানে প্রেসিডেন্টদের ‘অফিশিয়াল’ কাজকর্মের আইনি রক্ষাকবচের কথা বলা হয়েছে। তবে বিচারক স্পষ্ট জানান, এই মামলার ক্ষেত্রে যে প্রমাণগুলি পাওয়া গিয়েছে, তা ব্যক্তিগত স্তরে নেওয়া সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে কোনও রক্ষাকবচ দেওয়া যাবে না।
গতবার হেরে গেলেও এবার মহাসমারোহে মসনদে প্রত্যাবর্তন করেছেন ট্রাম্প। ৭১ মিলিয়নেরও বেশি আমেরিকানের ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র ইলেক্টোরাল কলেজ-ই জেতেননি, পপুলার ভোটেও জিতেছেন– এমন কৃতিত্ব তিনি ২০১৬ বা ২০২০ সালেও দেখাতে পারেননি। তাঁর এই বিপুল জয়ের পরেও দেশের একাংশের মানুষের আশঙ্কা, হোয়াইট হাউসে ফিরলে প্রথাগত ভারসাম্যকে হ্রাস করতেই থাকবেন ট্রাম্প। ইতিমধ্যেই ক্ষমতায় বসার আগে নানা হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।