সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে ইয়াবা পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজন পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনা জড়িত তাদের দুই সোর্সকেও গ্রেপ্তার করে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ শামসুল আলমের আদালতে হাজির করা হয় অভিযুক্তদের। বিচারক তাদের দুদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতদের জেরা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ, গ্রেপ্তার মায়ানমারের ১৬ মৎস্যজীবী]
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বরখাস্ত হওয়া পুলিশকর্মীরা হল মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল গোপাল সাহা, রাসেদুল ইসলাম, আবদুল হালিম ও তোজাম্মেল হক। আর তাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া দুই সোর্স হল আল আমীন ও হাসান। এরমধ্যে আবদুল হালিম, তোজাম্মেল হক ও আল আমীন পলাতক।
গত বৃহস্পতিবার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল গোপাল সাহা, রাসেদুল ইসলাম ও সোর্স হাসান হতিয়া রাজাবাড়ি গালর্স স্কুল বাজারে গিয়ে ফরহাদ মিঞার ছেলে বজলুর রশিদকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে উত্তেজিত হয়ে পড়ে স্থানীয় জনতা। তারপর তিন পুলিশকর্মী ও দুই সোর্স আটক করে গণধোলাই দেয়। গন্ডগোলের ফাঁকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় আবদুল হালিম, তোজাম্মেল হক এবং আল আমীন।
[আরও পড়ুন: দাম বৃদ্ধির জের, চিন থেকে বাবার জন্য পিঁয়াজ উপহার আনলেন বাংলাদেশের যুবতী]
খবর পেয়ে মির্জাপুর ও সখীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাকিদের উদ্ধার করে সখীপুর থানায় নিয়ে যায়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতেই সখীপুর থানার এসআই আইনুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতজনের নামে মাদক মামলা দায়ের করেন।
এপ্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার জানান, বরখাস্ত হওয়া পুলিশকর্মীরা প্রশাসনের কোনও কাজে যায়নি। সেরকম কোনও নির্দেশও ছিল না। অপরাধী হিসেবেই সেখানে গিয়েছিল। তাই মাদকদ্রব্য
আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতকদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
The post ইয়াবা পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশে বরখাস্ত ৫ পুলিশকর্মী, ধৃত আরও দুই appeared first on Sangbad Pratidin.