মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: সন্ত্রাস দমনে বড় সাফল্য। জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে পাঁচ জঙ্গি। নিহত জেহাদিদের মধ্যে রয়েছে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার জাহিদ ওয়ানি।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রই কিনেছিল পেগাসাস! নয়া রিপোর্ট দেখিয়ে মোদি সরকারকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বললেন রাহুল]
জানা গিয়েছে, রবিবার কাশ্মীরের পুলওয়ামা ও বদগাওঁয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দু’টি পৃথক এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে জইশের এক ও লস্কর-ই-তইবার চার সন্ত্রাসবাদী। কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার টুইট করে জানিয়েছেন যে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষে চলে। অবশেষে খতম হয় জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার জাহিদ ওয়ানি-সহ পাঁচ জঙ্গি। নিহতদের মধ্যে একজন পাকিস্তানী সন্ত্রাসবাদীও রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহতদের কাছ থেকে একে-৫৬ রাইফেল-সহ অন্যান্য অত্যাধুনিক হাতিয়ার ও নথি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। এদিকে, গতকাল জঙ্গিদের হামলা উপত্যকায় এক পুলিশকর্মী শহিদ হন।
উল্লেখ্য, সেনা সূত্রে পাওয়া এক পরিসংখ্যান থেকে অনুযায়ী, নতুন বছরে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারত-পাক সীমান্তে অনুপ্রবেশের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পাক জঙ্গিরা। শীতের মরশুমে বরফঢাকা পাহাড়ি পথ পেরিয়ে ভারতে ঢোকা পাক সন্ত্রাসবাদীদের স্থায়ী পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম। আর সেই কারণেই নিয়মিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে এসব স্পর্শকাতর এলাকায় কড়া নজরদারি চলে। প্রায়ই অস্ত্র হাতে জঙ্গি মোকাবিলা করতে হয়। সেনার এই সতর্কতাতেই বারবার ব্যর্থ হয় জঙ্গিবাহিনী।
বস্তুত, শীতকালে তুষারপাতের মরশুমে সীমান্তের অপার থেকে নতুন করে জঙ্গি অনুপ্রবেশ কঠিন হলেও কাশ্মীরে আগে থেকে অনুপ্রবেশ করা পাক জঙ্গিরা এখনও স্থানীয় যুবকদের বিভ্রান্ত করে সন্ত্রাসের রাস্তায় নামানোর চেষ্টা করছে। সেই জঙ্গি চক্র নির্মূল করতে গত ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই সক্রিয় কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনা। তারপরই বড় সাফল্য পেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।