shono
Advertisement

দেশজুড়ে ছড়ানো মধুচক্রের জালে স্তম্ভিত পুলিশ! উদ্ধার হওয়া ১৪ হাজার মহিলার অর্ধেকই বাংলার

ওয়েবসাইট, হোয়াটসঅ্যাপের সাহায্য়েই রমরমিয়ে চলছিল দেহব্যবসা।
Posted: 10:02 AM Dec 07, 2022Updated: 10:02 AM Dec 07, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনলাইনেই নিয়ন্ত্রিত হত দেহব্যবসা (Flesh Trade)। দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ (Hyderabad) থেকে। দেখতে দেখতে রীতিমতো ফুলেফেঁপে উঠেছিল সেই কারবার। অবশেষে পুলিশ সন্ধান মিলতেই রাতারাতি গ্রেপ্তার ১৭ জন চাঁই। উদ্ধার পেলেন ১৪ হাজারেরও বেশি নির্যাতিতা। এঁদের মধ্যে অর্ধেকই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। সেই সঙ্গে দেশের অন্যান্য রাজ্য তো বটেই, এমনকী বিদেশিনীরাও রয়েছেন। বিপুল বিস্তৃত এই মধুচক্রের সন্ধান পেয়ে তাই চোখ কপালে তদন্তকারীদের।

Advertisement

কীভাবে ছড়াত ব্যবসা? দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ‘ক্লায়েন্ট’দের কাছে পৌঁছতে তৈরি করা হয়েছিল অসংখ্য ওয়েবসাইট। ‘কলগার্লস অফ হায়দরাবাদ’, ‘লাক্সারি এসকর্ট সার্ভিস’, ‘মাই হেভেন মডেলস’ এমনই নানা নামের সেই সব ওয়েবসাইটের কল সেন্টারগুলি স্থাপিত ছিল দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদে। তবে মূল যোগাযোগ তৈরি করা হত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সাহায্যে। তারপর বিভিন্ন হোটেল, ওয়ো রুম কিংবা যৌন পল্লির মাধ্যমে চলত ব্যবসা।

[আরও পড়ুন: ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, ধিক্কার জানাই’, সাকেতের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]

জানা গিয়েছে, মোট ১৪ হাজার ১৯০ জন নির্যাতিতার মধ্যে অর্ধেক বাংলার। ২০ শতাংশ কর্ণাটক, ১৫ শতাংশ মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। এছাড়া বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, নেপাল, উজবেকিস্তান ও রাশিয়ার বাসিন্দা রয়েছেন ৩ শতাংশ। সকলকেই উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭০ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এর আগেই অভিযুক্তদের মধ্যে ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু তারা সকলেই ছিল পুলিশের নাগালের বাইরে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, বিলাসবহুল জীবনের লোভ, সহজেই বিপুল অর্থ উপার্জনের ফাঁদ পেতে ওই মেয়েগুলিকে ব্যবসায় নামানো হত। পাশাপাশি চাকরির টোপ দিয়েও প্রতারণা করা হত। বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেরও সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। দেখা গিয়েছে কোনও গ্রুপ কেবল উদ্যোক্তাদের জন্য। আবার দালাল, বিজ্ঞাপনদাতা, কল সেন্টারের কর্মী- ইত্যাদিদের জন্য়ও ছিল আলাদা আলাদা গ্রুপ। এভাবেই রমরমিয়ে চলত এই বিরাট চক্র। অবশেষে ফাঁস হয়ে গেল সবটাই।

[আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে খুন করে ব্যাগবন্দি দেহ ড্রামে লুকিয়ে রাখে যুবক, খোঁজ মিলল দেড় বছর পর!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement