সুব্রত বিশ্বাস: ট্রেনেও এবার বিমানের মতো স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রা। যাত্রীদের জন্য এমনই বন্দোবস্ত করতে চলেছে ভারতীয় রেল। রাজধানী, শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো এবার বোলপুর, রামপুরহাটগামী স্বল্প দূরত্বের ট্রেনগুলিতেও এমনই বিলাসবহুল যাত্রার আনন্দ উপভোগ করা যাবে। বাতানুকূল চেয়ার কারগুলি পরিবর্তিত হচ্ছে বিমানের সিটের আদলে। বিন্যাসও তেমন। কোচগুলির উপরে ভিনাইল ব়্যাপিংয়ে ফুটে উঠেছে কলকাতার ঐতিহ্যমণ্ডিত দর্শনীয় স্থানগুলির ছবি। এলইডি প্যানেল লাইটও বসানো হচ্ছে বিমানের অভ্যন্তরের আদলে। এক কথায়, আকাশের সঙ্গে জমিতে চলাচলকারী যানের ফারাক রাখতে চাইছে না রেল।
[সমস্যা বাড়াচ্ছে কৃত্রিম ‘হ্যামক’, যাত্রীদের নয়া ফিকিরে চিন্তায় রেল]
প্রাথমিকভাবে, এই কোচগুলির সংস্করণ করা হচ্ছে লিলুয়া রেল ওয়ার্কশপে। চিফ ওয়ার্কস ম্যানেজার সুমিত সরকার জানিয়েছেন, যাত্রী পরিষেবার মান উন্নয়নে রেল বেশ কিছু যোজনা রূপায়িত করেছে। তাই ক্রমান্বয়ে বদলে ফেলা হচ্ছে কোচের সজ্জা। শুক্রবার মোট পাঁচটি সুসজ্জিত কোচ লিলুয়া ওয়ার্কশপ থেকে ডিভিশনগুলিকে হস্তান্তর করা হয়। পূর্ব রেলের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রবীন্দ্র গুপ্তা বলেন, সমস্ত এসি কোচের সাজসজ্জা বদলানোর পরিকল্পনায় কাজ শুরু হয়েছে। কোচে ব্যবহৃত সবকিছুই অত্যাধুনিক। রাজধানী ও শতাব্দীর এসি থ্রি-টিয়ারের মতো নতুন সাজসজ্জা, ফ্লোরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রবার ম্যাট, শৌচাগারের সব সরঞ্জামও বিমানের মতো। দরজায় লাল, সবুজ লাইটের ইন্ডিকেটর, ট্যাপ ফিটিং অত্যাধুনিক, মোবাইল ও ল্যাপটপ চার্জিং সব বার্থে (সাইড বার্থেও) এবং সর্বত্র এলইডি লাইটের প্যানেল।
[আইনজীবীর স্বামী পাকা চোর, টার্গেট রেলযাত্রীদের ল্যাপটপ]
শুধু তাই নয়, বোতল রাখার জায়গা থেকে খাবারের প্লেট রাখার জায়গা। সবেতেই উন্নতমানের ছোঁয়া। তবে অনেক যাত্রীই কোচগুলির ভিতরে পরিচ্ছন্নতার অভিযোগ তোলেন। ঠিকমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করার দরুন পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাব নিয়ে সরব যাত্রীরা। তাই এমন পরিস্থিতি ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল। পোকামাকড়ের উপদ্রব কমাতে প্যান্ট্রি কার সম্পূর্ণ স্টেনলেস স্টিলের তৈরি করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে তুলনামূলক কম খরচে স্বল্প দূরত্বের যাত্রাপথও আভিজাত্যে ভরপুর করার রেলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানোই যায়।
The post বিমানের স্বাচ্ছন্দ্য এবার ট্রেনেও, আভিজাত্যে ভর করে পৌঁছে যান বোলপুর-তারাপীঠ appeared first on Sangbad Pratidin.