বিক্রয় রায়, কোচবিহার: প্রতীক্ষার অবসান। সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে মঙ্গলবার শুরু হল কোচবিহার-কলকাতা বিমান পরিষেবা। তবে উদ্বোধনের দিনই তৈরি হল সংঘাতের আবহ। পরিষেবার উদ্বোধনে বিজেপি বিধায়করা উপস্থিত থাকলেও শাসকদলের তরফে কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না।
জানা গিয়েছে, এদিন ন’জনের আসনযুক্ত বিমানে রাজ্যের পাঁচ প্রতিনিধি থাকার কথা ছিল। কিন্তু উড়ানের সব আসন দাবি করে বিজেপি। তাই জটিলতা এড়াতেই শাসক দলের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত হননি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ণ গুজ এবং তৃণমূল নেতা পার্থ প্রতিম রায়ও ছিলেন না বলেই খবর। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নীশীথ প্রামাণিক উদ্বোধনে হাজির ছিলেন। বলে দেন, বিজেপির তরফে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাঁরা আসেননি। তবে মোদি সরকারের উড়ান স্কিমের আওতায় এই বিমান পরিষেবা হওয়ায় রাজ্যবাসীর সুবিধাই হল।
[আরও পড়ুন: এই ম্যাচটি খেলেই আইপিএলকে বিদায় জানাতে চলেছেন CSK অধিনায়ক ধোনি!]
এদিকে রাজনৈতিক সংঘাত নিয়ে তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কলকাতা-কোচবিহার বিমান পরিষেবা শুরু হচ্ছে। তার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। বিমানবন্দরের প্রস্তুতি থেকে পুলিশি ব্যবস্থা, চিকিৎসা থেকে দমকল- সবই করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে পাঁচজন প্রতিনিধি আজ যাওয়ার কথা ছিল বিমানে। তবে গতকাল বিজেপি যে অভব্য আচরণ করেছে, ওরা জোর করে বলে বিমানের সব আসনই ওরাই নেবে। ৯ জন যাবে। জটিলতা এড়াতেই আমরা নিজেরাই বিমানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করি।” রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যের তরফে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছিল। তাহলে কেন এত দেরি? যদিও পালটা দিয়ে বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা দাবি করেন, “কে যাবেন কে যাবেন না, আমরা কাউকে জোর করতে পারি না। তবে এটা ভাল কাজ, সেখানে ওঁদের সহযোগিতা করা উচিত।”
উল্লেখ্য, বিমান সংস্থা ইন্ডিয়া ওয়ান এই পরিষেবা চালু করল। প্রতিদিন দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে কোচবিহার বিমানবন্দরে পৌঁছবে বিমানটি। ১২টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যাবে কোচবিহার থেকে। বাংলাদেশের উপর দিয়ে তা কলকাতা পৌঁছবে। মোট ৯ জন যাত্রী একসঙ্গে সফর করতে পারবেন। কোচবিহার থেকে কলকাতার প্রাথমিকভাবে বিমান ভাড়া ৯৯৯ টাকা। প্রায় ২ ঘণ্টার মধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছে যাবে বিমান। ভূবনেশ্বর থেকে জামশেদপুর থেকে কলকাতা হয়ে কোচবিহার যাবে এই বিমান।