সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে গুজরাটে। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫০০০ মানুষকে ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রায় দেড়হাজার মানুষ আটকে পড়েছেন বিভিন্ন গ্রামে। তাদের উদ্ধার করার কাজ চলছে। সেনা, বায়ু সেনা, বিএসএফ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর একযোগে কাজ চালাচ্ছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বানাসকথা জেলা। টানা বৃষ্টি চলছে গুজরাট জুড়ে। এরই মধ্যে দান্তিওয়াড়া ও ধারোই বাঁধ থেকে জল ছাড়া শুরু করেছে প্রশাসন। ফলে, নতুন করে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শুধুমাত্র বানাসকথা জেলা থেকেই ১০৩০০ মানুষকে সরানো হয়েছে পাটান ও আহমেদাবাদে। অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে ধানেরা, ধিসা, থারাড এলাকায়। যান চলাচল বিপর্যস্ত। ছয় ঘন্টায় ২৩৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছে ধানেরাতে। রাস্তাঘাট জলের তলায়। প্রবল বৃষ্টি হয়েছে আহমেদাবাদ, দ্বারকা, পোরবন্দর এবং দিউতেও। রাজ্যের ২০টি রাজ্য ও জাতীয় সড়ক জলমগ্ন। ট্রেন লাইন জলের তলায় হওয়ায় দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেসের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিতে বেহাল আমেদাবাদের নিকাশি ব্যবস্থা। শহরের অধিকাংশ রাস্তা জলমগ্ন। এখনও কোনও আশার কথা শোনায়নি আবহাওয়া দপ্তর। আগামী কয়েক দিনের পূর্বাভাসে রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে বাধ্য। প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে গির অরণ্যে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি থাকতে বলা হয়েছে বনদপ্তরকে। গুজরাটের পাশাপাশি ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কোঙ্কণ উপকূল এবং পূর্ব রাজস্থানে। জুলাই মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত এই বৃষ্টি চলবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।