সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: পুজোর মরশুমে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে ফুলের জোগানে টান। আর তাই বিশ্বকর্মা-গণেশ পুজোর (Ganesh Chaturthi 2023) মরশুমে ফুলের দাম আকাশছোঁয়া। সোমবার বিশ্বকর্মার আরাধনা হয়েছে রাজ্য়জুড়ে। গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যে চল বেড়েছে গণেশ আরাধনার। সোমবার সপ্তাহের শুরুতে ফুলের অস্বাভাবিক মূল্য়বৃদ্ধির জেরে মাথায় হাত পুজো উদ্যোক্তাদের। পাইকারি বা খুচরো বাজারে ফুলের দাম বাড়লেও সে তুলনায় দাম পাচ্ছেন না চাষিরা।
গত বেশ কয়েকদিন ধরে নিম্নচাপজনিত বৃষ্টির কারণে ফুলের উৎপাদন খানিকটা ব্যাহত হয়েছে। অন্যদিকে গত কয়েকমাস ধরে তাপপ্রবাহের কারণে ফুলের উৎপাদন ভীষণভাবে ব্যাহত হয়েছিল। সব মিলিয়ে ফুলবাজারে ফুলের জোগান তুলনামূলকভাবে খানিকটা কম। পাশাপাশি বাংলার প্রায় প্রতিটি কলকারখানায় আজকের দিনে যন্ত্রের দেবতা বিশ্বকর্মা পূজিত হন। কাল অর্থাৎ মঙ্গলবার আবার গণেশ চতুর্থী। বাজারে জোগানের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় ফুলের দাম অনেকটাই বেশি বলে জানান সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়ক। নারায়ণবাবু বলেন,”কলকাতার মল্লিকঘাট ফুলবাজার-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বৃহত্তম কোলাঘাট, দেউলিয়া-সহ বিভিন্ন ফুলবাজারে আজ ওই কারনে বেশ চড়া দামে ফুল বিক্রি হয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজোর পর আগামীকাল গণেশ চতুর্থী থাকায় রাজ্য ছড়িয়ে ভিনরাজ্যেও চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় পাইকারী বাজারেও তার আঁচ পড়েছে।”
[আরও পড়ুন: গঙ্গায় স্নান করতে নামাই কাল! তলিয়ে গেল হাওড়ার দুই নাবালক বন্ধু]
সোমবার পাইকারি বাজারে ফুলের দর
রজনীগন্ধা: ৪০০-৫৫০ টাকা /কেজি
গোলাপ: ২৫০ – ৩৫০ টাকা/ ১০০ পিস
গাঁদা মালা(লাল): ৭০০ টাকা/২০ পিস
গাঁদা মালা(হলুদ): ৮০০ টাকা/ ২০ পিস
গাঁদা ঝুরা: ১৫০ টাকা/কেজি
দোপাটি: ১০০ টাকা/কেজি
অপরাজিতা: ১০০ টাকা/কেজি
জবা:- 80 টাকা /এক হাজার পিস
আকন্দ: ১০০ টাকা /২০ পিস
পদ্ম: ৮ টাকা /প্রতি পিস
কোলাঘাটের বাসিন্দা তথা হাওড়ার মল্লিক ঘাটের ফুল ব্যবসায়ী সনাতন মাইতি বলেন, “গত বেশ কয়েকদিন ধরে নিম্নচাপজনিত বৃষ্টির কারণে ফুলের উৎপাদন খানিকটা ব্যাহত হয়েছে। পাশাপাশি এর পূর্বে কয়েক মাস ধরে তাপ প্রবাহ এর কারণে ফুলের উৎপাদন ভীষণভাবে ব্যাহত হয়েছিল। সবমিলিয়ে ফুলবাজারে ফুলের জোগান তুলনামূলকভাবে খানিকটা কম। জোগানের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় ফুলের দাম এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।”