সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে ভারত। আর দেশের এই আর্থিক বৃদ্ধি দেখে হিংসায় জ্বলছে বিরোধীরা। সংসদে দাঁড়িয়ে বিরোধী শিবিরকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তাঁর বক্তব্য, বিরোধীরাও শত্রু দেশের মতো আচরণ করছে। দেশের অর্থনীতির উন্নতিতে সবার গর্ব করা উচিত। অথচ, আমাদের বিরোধী শিবির হিংসায় জ্বলছে।
অর্থমন্ত্রীর দাবি, “করোনা পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা এড়িয়েও ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। অথচ, দুঃখজনকভাবে আমাদের দেশের বিরোধীরা ভিনদেশি শত্রুর মতো আচরণ করছে। আমাদের অর্থনীতি ভালভাবে এগোলে এই সংসদেরই অনেক সদস্য হিংসা করেন। এটা এই সংসদ ভবনের জন্য দুঃখজনক। দেশ এগোচ্ছে, আমাদের সবার উচিত এর জন্য গর্ববোধ করা। এটা নিয়ে রসিকতা করা ঠিক নয়।”
[আরও পড়ুন: মোদি-শাহ’র উপস্থিতিতে ভূপেন্দ্রর শপথগ্রহণ, ২০০ সাধুর আশীর্বাদ নিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী]
সংসদে দাঁড়িয়ে নির্মলা (Nirmala Sitharaman) এদিন আরও একবার দাবি করেছেন ভারতের অর্থনীতি এই মুহূর্তে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। একথা ঠিক যে টাকার তুলনায় ডলারের দাম বাড়ছে। কিন্তু সেটা ডলারের প্রশংসনীয় মূল্যবৃদ্ধির জন্য। বিশ্বের অন্য সব মুদ্রার তুলনায় ভারতের টাকা ভাল জায়গায় আছে। এটা ভারতের জন্য বড়সড় স্বস্তির ব্যাপার। এটা নিয়ে মজা করার কোনও কারণ নেই। অর্থমন্ত্রী এদিন সংসদে (Parliament) জানিয়ে দিয়েছেন, ডলারের তুলনায় টাকার দাম নিয়ন্ত্রণ করতে রিজার্ভ ব্যাংক সবরকম পদক্ষেপ করছে।
[আরও পড়ুন: ভাঙা রাস্তায় চলল না অ্যাম্বুলেন্স, প্রসূতিকে বাঁশে ঝুলিয়ে সাড়ে তিন কিমি পেরোলেন আত্মীয়রা]
অর্থমন্ত্রী যেদিন সংসদে দাঁড়িয়ে একথাগুলি বলছেন, তার মাত্র দু’সপ্তাহ আগে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনীতি ৬.৩% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা আগের ত্রৈমাসিকের অর্ধেকেরও কম। জুন ত্রৈমাসিকে দেশের সার্বিক বৃদ্ধির হার ছিল ১৩.৫ শতাংশ। অর্থাৎ দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার শেষ ত্রৈমাসিকেও ছিল নিম্নমুখী।
এদিনই অর্থমন্ত্রী সংসদে জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকার জিএসটি ক্ষতিপূরণ (GST Compensation) বাবদ রাজ্যগুলির যাবতীয় পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। গত পাঁচ বছর ধরেই নিয়মিত কেন্দ্র জিএসটি ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে আসছে। রাজ্য সরকারগুলি অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের সার্টিফিকেট জমা দিলেই জিএসটির টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রীর সাফ কথা, রাজ্য সরকারের দাবি আর অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের সার্টিফিকেটের মধ্যে কোনও একটা না এলে তাকা আটকে থাকতে পারে। কিন্তু দু’টো জমা পড়ার পর টাকা আটকে রাখা হবে না।