সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের সাজা ঘোষণা বুধবার স্থগিত রাখল আদালত। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তা ঘোষণা করা হবে। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় মামলায় লালু দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আগেই। তাঁর কী সাজা হয়, তা নিয়ে তুমুল জল্পনা ছিল রাজনৈতিক মহলে।আইনজীবী বিন্দেশ্বরী প্রসাদের মৃত্যুর কারণে আজ সাজা ঘোষণার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হল।
[ আর নয় ট্রেন লেট, অভিনব পরিকল্পনায় বাজিমাতের ভাবনা রেলের ]
সাজা ঘোষণা উপলক্ষে এদিন আদালত চত্বরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। আদালতের রায়ে লালু দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই আদালতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন আরজেডি নেতারা। এই প্রথমবার নজিরবিহীনভাবে আদালতের বাইরে করা মন্তব্যের ভিত্তিতে আদালত অবমাননার নোটিস জারি করা হয়েছে বেশ কিছু আরজেডি নেতার নামে।আজ অভিযুক্ত আরও পনেরো জনের সাজা ঘোষণার কথা ছিল। তবে পুরো প্রক্রিয়াই আগামিকাল হবে বলে জানানো হয়েছে। গত ২৩ ডিসেম্বর এই মামলায় লালুকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। লালুর বিরুদ্ধে কেলেঙ্কারির পর্যাপ্ত প্রমাণ মেলে। তবে রেহাই পেয়ে গিয়েছিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে আরজেডি প্রধানের বিরুদ্ধে মোট ছ’টি মামলা দায়ের হয়। এই মামলাটি ছিল দ্বিতীয়। এই মামলায় অভিযোগ ছিল ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের নেতৃত্বে পশুখাদ্য কেনার নাম করে জাল নথির মাধ্যমে দেওঘর ট্রেজারি থেকে ৯০ লক্ষ টাকা তোলা হয়। এর আগে পশুখাদ্য সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবকে পাঁচ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেয় সিবিআই আদালত। সেই মামলায় ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট থেকে অবশ্য তিনি জামিন পান। দ্বিতীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আজ সাজা ঘোষণার কথা ছিল।
উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাসে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে লালুর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও ওই কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত প্রত্যেকটি মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আলাদা করে মামলা চালানোর আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। অভিযোগ, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের নেতৃত্বে পশুখাদ্য কেনার নাম করে জাল নথির মাধ্যমে কয়েকবারে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা কোষাগার থেকে তোলা হয়।শুধু পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিই নয়, লালু ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে রেল দুর্নীতি ও কর ফাঁকির মামলাও রয়েছে। মামলাগুলির তদন্ত করছে সিবিআই। অভিযোগ, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন লালু। ২০০৬ সালে ‘বিএনআর হোটেলস’ অধিগ্রহণ করে ভারতীয় রেল। তখন রেলমন্ত্রীর আসনে লালু। অধিগ্রহণের পর বিএনআর হোটেলসের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। অভিযোগ, সে বছরই প্রভাব খাটিয়ে সুজাতা হোটেল নামের একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দেন আরজেডি প্রধান। অভিযোগের পাহাড় ছিল লালুর সামনে। ফলত তাঁর কী সাজা হয় সে জল্পনা জিইয়ে থাকল রাজনৈতিক মহলে।এদিকে আদালত অবমাননার নোটিস পেয়ে ক্ষুব্ধ নেতারা।তাঁদের দাবি, বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি তাঁরা।
[ অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছেন মোদি, লক্ষ টাকার মেসেজে হুলস্থূল এগরায় ]
The post পশুখাদ্য মামলায় লালুর সাজা ঘোষণা বৃহস্পতিবার appeared first on Sangbad Pratidin.