সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইঙ্গিতটা আগেই পাওয়া গিয়েছিল৷ সোমবার তাতেই সিলমোহর পড়ল৷ ইস্টবেঙ্গল কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সাহেব কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান৷
আই লিগে টানা চার ম্যাচে হার৷ তার উপর শিলিগুড়িতে ফিরতি ডার্বিতে হার ছিল গোদের উপর বিষফোড়ার মতোই৷ ১৪ বছর ক্লাবে আই লিগ ট্রফি না ঢোকার ক্ষোভ ধরে রাখতে পারেননি লাল-হলুদ ভক্তরা৷ ক্লাব চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিলেন তাঁরা৷ ‘গো ব্যাক মর্গ্যান’ স্লোগানও তুলেছিলেন৷ তাঁদের রোষের মুখ থেকে বাদ যাননি ক্লাবকর্তারাও৷ ব্যর্থতা স্বীকার করে কর্তাদেরও সরে দাঁড়ানোর দাবি জানান তাঁরা৷ ময়দানের উত্তপ্ত পরিস্থিতি ভালই আঁচ করতে পেরেছিলেন গত ইনিংসে এই শহরে তিন বছর কাটানো সাহেব কোচ৷ তাই জানতেন, সমর্থকদের সাময়িকভাবে ঠান্ডা করতে রবিবার ডিএসকে শিবাজিয়ান্সের বিরুদ্ধে জিততেই হবে৷ কিন্তু ঘরের মাঠে সেই ম্যাচেও যখন মুখ থুবড়ে পড়লেন, তখন আশার সব দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মর্গ্যানের কাছে৷ সোমবার নিজের সিদ্ধান্তের কথা ই-মেলের মাধ্যমে ক্লাবকে জানিয়ে দেন তিনি৷ ক্লাব সেই পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছে বলেও খবর৷
[ফোর্বসের সেরা ৩০-এর তালিকায় দীপা-সাক্ষী-আলিয়া]
বেশ কয়েকদিন থেকেই কোচ এবং ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের মধ্যে সম্পর্কের চাপানোতর চলছিল৷ ডার্বির আগে যা আরও প্রকটভাবে সামনে আসে৷ যার প্রভাব পড়েছিল বড় ম্যাচেও৷ শিলিগুড়িতে ম্যাচ শেষের পর সাংবাদিক বৈঠকে ক্লাব কর্তাদের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে ছিলেন ব্রিটিশ কোচ৷ বলেছিলেন, “টিম তো আমি গড়িনি৷ করেছেন কর্তারা৷ তাহলে আমাকে ম্যাচে হারের জন্য পুরোপুরি দায়ী করা হবে কেন?” পাশাপাশি বিদায় আসন্ন জেনে সেদিনই পদত্যাগের ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছিলেন৷ এদিকে কোচের নালিশে বেজায় চটে গিয়েছিলেন কর্তারাও৷ শীর্ষকর্তা দেব্রবত সরকার বলেছিলেন, “দু’টো বেঙ্গালুরু ম্যাচ আর কলকাতা লিগ জেতার পর তো কোচ বলেননি যে দল তাঁর তৈরি নয়৷ ডার্বি হারের পর এসব কথা কেন বলছেন?” সোমবার সম্পর্কের সেই তিক্ততার অবসান ঘটল৷
[রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দিল্লিকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক নাইটদের]
শোনা যাচ্ছে, মোহনবাগানের মতো ইস্টবেঙ্গলেও একটি টেকনিক্যাল কমিটি তৈরি করা হবে৷ প্রাক্তন ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য-সহ তিনজন সেই কমিটির সদস্য হবেন যাঁরা দলের আগামী কোচকে বেছে নেবেন৷ এখনও পর্যন্ত কোচের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন আর্মান্দো কোলাসো৷
The post চাপের মুখে ইস্টবেঙ্গল কোচের পদ থেকে ইস্তফা মর্গ্যানের appeared first on Sangbad Pratidin.