সুব্রত বিশ্বাস: পুজোর মরশুমে স্টেশনগুলিতে ফুড প্লাজা (Food Plaza)ও জন আহার খোলার অনুমতি দিয়েছে রেল (Indian Railway)। রান্না করা খাবার বিক্রি কোভিড পরিস্থিতিতে বন্ধ ছিল। তবে এই প্রথম রান্না করা খাবার বিক্রির অনুমতি দিল রেল। গোটা অক্টোবর মাস এই বিক্রির অনুমতি সত্বেও হাওড়া (Howrah), শিয়ালদহের (Sealdah) মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ফুড প্লাজা বা আইআরসিটিসি পরিচালিত জন আহার খোলেনি। এগুলি খোলার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানান ফুড প্লাজা কতৃপক্ষ।
হাওড়ার সংস্থার পক্ষে শঙ্কর নাগ জানান, ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে জন আহার, ফুড প্লাজা খোলার নির্দেশ আসে। রেলের তরফে জানানো হয়, কুড়ি শতাংশ লাইসেন্স ফি রেলকে দিতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের দৈনিক ত্রিশ হাজার টাকা রেলকে দিতে হবে। আশঙ্কা. এই খরচ উঠবে না। তাই ফুড প্লাজা খুলবে না কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “ট্রেন হাওড়া আসার পর, যাত্রীদের লাইন করে বের করে দেওয়া হচ্ছে। যাত্রার সময়েও যাত্রীদের সরাসরি ট্রেনে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে তাঁরা খাবার খেতে ফুড প্লাজায় আসতে পারছেন না।” এই পরিস্থিতিতে সব স্টেশনে একইরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে রেলকে জানিয়েছে, দশ শতাংশ ফি মঞ্জুর করলে তারা রেস্টুরেন্টগুলি খুলতে পারে।
[আরও পড়ুন : ডেডলাইন ২০২১’এর ডিসেম্বর, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ সম্পূর্ণ করার ঘোষণা কর্তৃপক্ষের]
দীর্ঘদিন ধরে রেল চলাচল খুব সীমিত থাকায় রেলে ক্ষতির পরিমান বেড়ে চলেছে। এই প্রেক্ষিতে স্টেশনগুলির রেস্তোরাঁগুলি খোলা ও রান্না করা খাবার বিক্রির অনুমতি দেয়। কিন্তু পরিকাঠামো উপযুক্ত না থাকায়, অনুমতি পেয়েও তা খুলছে না রেস্তোরাঁ কতৃপক্ষ।