shono
Advertisement

বাতিল রাজ্যের ফুড সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের প্যানেল, সংশয়ে ৯৯৭ সফল চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ

মেধা তালিকায় বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
Posted: 09:10 PM Mar 29, 2022Updated: 10:06 PM Mar 29, 2022

গোবিন্দ রায়: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে বেনিয়ম নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার রাজ্যের ফুড সাব ইন্সপেক্টর পদে ৯৯৭ জনের প্যানেল বাতিল করল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (SAT)। অভিযোগ, প্যানেল তৈরির সময় সংরক্ষণবিধি মানা হয়নি। এমনকী, মেধা তালিকায় বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement

২০১৮ সালে রাজ্যের ফুড সাব ইন্সপেক্টর (Food Sub Inspector) পদের জন্য পরীক্ষা নিয়েছিল পাবলিক সার্ভিস কমিশন (PSC)। লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ৯৯৭ জনের প্যানেল তৈরি হয়। ১০০ জন নিয়োগপত্রও পেয়ে গিয়েছিল। এর পরই নিয়োগে অস্বচ্ছতা, সংরক্ষণ নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে সম্প্রতি মামলা দায়ের হয়েছিল স্যাটে। অভিযোগকারীদের দাবি, বেআইনিভাবে অনেককে মেধাতালিকার উপর দিকে স্থান দেওয়া হয়েছে। এমনকী, সংরক্ষণ নীতিও মানা হয়নি।

এই অভিযোগ ভিত্তিতে বেশকিছু দিন ধরে শুনানি চলে স্যাটে। জানা গিয়েছে, নিয়োগে বেশকিছু বেনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে স্যাট। এরপরেই এই প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল। জানা গিয়েছে, এই প্যানলের ১০০ জন ইতিমধ্যে চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন। স্যাটের এই নির্দেশের জেরে তাঁরা-সহ প্যানেলে নাম থাকা ৯৯৭ জনের ভবিষ্যৎ এক প্রকার অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।

[আরও পড়ুন: বাসন্তীতে বোমা বিস্ফোরণ, আগুনে পুড়ল বাড়ি, এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক]

প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতা হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে এসএসসিও। সম্প্রতি নবম ও দশম শ্রেণির গণিতের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আব্দুল গণি আনসারি-সহ বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, মেধা তালিকায় যাঁরা কোনও জায়গা পাননি, তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। মেধা তালিকায় অনেক পিছনে থাকা পরীক্ষার্থীরাও নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন বলে দাবি ওই চাকরিপ্রার্থীদের। বেনিয়ম নজরে আসে হাই কোর্টেরও।

প্রসঙ্গত, গ্রুপ সি (Group C) নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তের স্বার্থে গঠন করা হয়েছিল অনুসন্ধান কমিটি। ১৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ মঙ্গলবার হাই কোর্টে ওই অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট পেশ করার ছিল। কিন্তু এদিন কমিটির তরফে কেউ যাননি বলেই খবর। এতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধান কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। পাশাপাশি, গ্রুপ ডি দুর্নীতি মামলার তদন্তের ভার ফের দেওয়া হয় সিবিআইকেই।

[আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে পালানোর ছক কষেও শেষরক্ষা হল না, গ্রেপ্তার মালদহের নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement