সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেবীর মর্তে আসতে আর মাসখানেক। তার আগেই শুরু উৎসবের মরশুম। আগামিকাল শুক্রবার গজাননের আরাধনায় মাতবেন সকলে। শনিবারও রয়েছে তিথি। আর গণেশ চতুর্থী মানেই লাড্ডু। বাঙালির যে কোনও উৎসবের সঙ্গেই মিষ্টান্নের এক ওতপ্রোত সংযোগ। এক্ষেত্রেও তাই। এবার শহর কলকাতায় দেখা মিলল অতিকায় লাড্ডুর। যার ওজন সাকুল্যে ৫২১ কেজি! নির্মাণে বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিক।
কথা হচ্ছিল শহরের অন্যতম বিখ্যাত মিষ্টির দোকান তথা ব্র্যান্ডের বর্তমান মালিক সুদীপ মল্লিকের সঙ্গে। 'সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল'কে তিনি জানালেন, ''গণেশ চতুর্থী উপলক্ষেই এমন পরিকল্পনা। তবে এই লাড্ডু বিক্রির জন্য নয়। যদিও কেউ চাইলেই বড় লাড্ডু তৈরি করে দেব আমরা। কিন্তু এটা স্রেফ প্রদর্শনের জন্যই বানানো হয়েছে মতিচূরের এই লাড্ডু। ড্রাই ফ্রুটস, কাজু বরফি, মোদক দিয়ে বিশেষ ডেকরেশনও করেছি।''
[আরও পড়ুন: পলিগ্রাফে দশ প্রশ্ন, লাই ডিটেক্টরের সামনেও সিবিআইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা সঞ্জয়ের]
এটাই কি বিশ্বের সবচেয়ে বড় লাড্ডু? প্রশ্ন শুনে হাসলেন সুদীপ, ''সেটা জানি না। তবে এই শহরে এত বড় লাড্ডু সম্ভবত এর আগে বানানো হয়নি। আমরাও এমন পরিকল্পনা আগে করিনি। আসলে পশ্চিমবঙ্গে গণেশ চতুর্থী আগে তো অতটা পপুলার ছিল না। এখন যেহেতু হয়েছে, তাই এমন পরিকল্পনা। জন্মাষ্টমীরও একসময় এখানে জনপ্রিয়তা অতটা ছিল না। জনপ্রিয় হতেই আমরা নানা পরিকল্পনা নেওয়া শুরু করতে থাকি। এখন তালের বড়া, তালের লুচি এসব হয়। মানুষ খুব পছন্দ করে। তাই এবার আমরা গণেশ পুজোয় এই লাড্ডু তৈরি করলাম।''
উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের প্রধান উৎসব সিদ্ধি বিনায়ক গণেশের আরাধনা। গোয়া, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়েও সাড়ম্বরে এই পুজো হয়। নববর্ষের হালখাতার সময় ছাড়াও বছরের এই সময়ে গণেশ পুজোয় মাতে বঙ্গবাসীও। মন্ত্র জপ করে ষোড়শোপচারে সিদ্ধি বিনায়কের পুজো করেন ভক্তরা। পুজোর শুরুতেই ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে সংকল্প করা হয়। তার পরে মন্ত্র জপ, মূর্তি প্রতিষ্ঠা, মূর্তি স্নান এবং দেবতাকে ভোগ উৎসর্গ করা হয়। আর গণেশের প্রসাদ হিসেবে মোদকের পাশাপাশি লাড্ডুও বিতরণ করা হয়। সেই লাড্ডু দিয়েই এবার তাক লাগাল ১৩৯ বছরের পুরনো দোকান বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিক।