সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রযুক্তিগত সমস্যা, নাকি ইউক্রেনের বিমান ভেবে মিসাইল হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া! কাজাখস্তানের বিমান দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে জল্পনার মাঝেই এবার ক্ষমা চাইলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর ক্ষমা চাওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কী এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে ছিল মিসাইল হামলা!
কাসপিয়ান সাগরের পূর্ব তীরে কাজাখস্তানের আকতু শহরের কাছে থেকে একটি ফাঁকা জায়গায় বিমানটি ভেঙে পড়েছিল আজারবাইজান এয়ারলাইনসের বিমান। দুর্ঘটনার সময় বিমানকর্মী-সহ এতে মোট ৬৭ জন ছিলেন। গ্রজনিতে ঘন কুয়াশার কারণে ওই বিমানের গতিপথ পরিবর্তিত হয়। কাজাখস্তানে জরুরি অবতরণ করতেও চেয়েছিলেন পাইলট। তবে অবতরণের সময় ঘটে দুর্ঘটনা। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শনিবার ক্রেমলিনের তরফে পুতিনের বিবৃতি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। তাদের তরফে বলা হয়েছে, "ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার আকাশসীমায় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। একই সঙ্গে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।"
পুতিনের ক্ষমা চাওয়ার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেন তিনি ক্ষমা চাইলেন? তবে কি দুর্ঘটনার পিছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে? এদিকে বিমান দুর্ঘটনার পিছনে মূলত দুটি তত্ত্ব উঠে আসছে। প্রথমত, অবতরণের সময় পাখির ঝাঁকের সঙ্গে ধাক্কা খেতে পারে বিমানটি। এবং দ্বিতীয়ত, ইউক্রেনের বিমান ভেবে এটিকে গুলি বা মিসাইল ছুড়ে নামানো হয়েছে। আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের তরফে অবশ্য স্পষ্ট জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার নেপথ্যে ‘বহিরাগত এবং প্রযুক্তিগত হস্তক্ষেপ’ হতে পারে। এই বহিরাহত বলতে ওই হামলার দিকেই আঙুল তোলা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই বিমানটি বাকু থেকে গ্রজনি যাচ্ছিল। গ্রজনিতে ঘন কুয়াশার কারণে ওই বিমানের গতিপথ পরিবর্তিত হয়। ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, সেই সময় রাশিয়ার গ্রজনি, মজডক এবং ভ্লাদিকাভকাজেতে ইউক্রেনের আকাশযান আক্রমণ চালাচ্ছিল। রাশিয়ার বিমানবাহিনী সেই হামলা প্রতিহত করতে ব্যস্ত ছিল। ইউক্রেনের বিমানকে লক্ষ্য করে রাশিয়ার ছোড়া গুলি এই যাত্রীবাহী বিমানে লেগেছিল কিনা তা অবশ্য স্পষ্ট করেনি মস্কো। এরই মাঝে পুতিনের ক্ষমা চাওয়া সেই জল্পনাকে আরও খানিক উস্কে দিল।