বার্সেলোনা: ৪ (লেওয়নডস্কি ২, ইয়ামাল, রাফিনহা)
রিয়াল মাদ্রিদ: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝমাঠ থেকে খেলা নিয়ন্ত্রণ করছেন এক ভদ্রলোক। এক মহাতারকা কখনও উইং থেকে ঢুকে, আবার কখনও রক্ষণের মাঝ বরাবর আড়াআড়ি দৌড়ে রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছেন। এ দৃশ্যের সঙ্গে বড় পরিচিত বার্সেলোনার সভ্য সমর্থকরা। কিন্তু মেসি-জাভি-ইনিয়েস্তাদের বিদায়ের পর দীর্ঘদিন এ দৃশ্যপট ফুটে ওঠেনি স্পেনের প্রথম ডিভিশনে। শনিবাসরীয় রাতে হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা যেন সেই মায়াবী দৃশ্যপট ফিরিয়ে আনল স্যান্টিয়াগো বের্নাবেউয়ের বুকে। ইনিগো মার্টিনেজ, লামিনে ইয়ামালরা যেন মুহূর্তে বার্সেলোনাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন সেই স্বর্ণযুগে। রিয়ালের ডেরায় ঢুকে বার্সেলোনা ৪-০ গোলে হারাল এমবাপে-ভিনিসিয়াসদের।
এই ম্যাচে নামার আগে লা লিগায় ৪২ ম্যাচ অপরাজিত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। শনিবার না হারলেই বার্সেলোনার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলতো রিয়াল। ২০১৭ সালে লিগায় টানা ৪৩ ম্যাচ অপরাজিত ছিল মেসিদের বার্সেলোনা। সেই রেকর্ড বাঁচানোর দায় যেন নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন লেওয়নডস্কি, ইয়ামালরা। বার্সার ৪ গোলের দুটি করলেন লেওয়নডস্কি। একটি করে করলেন ইয়ামাল, এবং রাফিনহা।
বার্সেলোনা ৪-০ গোলে জিতলেও খেলা একেবারে একপেশে হয়েছে সেটা অবশ্য বলা যাবে না। ম্যাচের প্রথমার্ধে সমানে সমানেই লড়াই হয়েছে। এমনকী প্রথমে রিয়ালই বার্সার জালে বল জড়িয়েছিল। কিন্তু এববাপের সেই গোল বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের জন্য। গোটা ম্যাচে এমবাপেই সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন রিয়ালকে। মোট ৬ বার অফসাইড হয়েছেন। সহজ অন্তত গোটা দুয়েক সুযোগ নষ্ট করেছেন। সুযোগ নষ্ট করেছেন ভিনিসিয়াসও। অন্যদিকে দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনা কাজে লাগিয়েছে অধিকাংশ সুযোগ। দুমিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করে গিয়েছেন লেওয়নডস্কি। ম্যাচের ৫৪ এবং ৫৬ মিনিটে তাঁর করা জোড়া গোল রিয়ালকে লড়াই থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ইয়ামাল এবং ৮৪ মিনিটে রাফিনহা আরও দুটি গোল করে রিয়াল বধ পালা সম্পন্ন করলেন।
চলতি সপ্তাহেই বায়ার্ন মিউনিখকে ৪ গোল দিয়েছে বার্সেলনা। এবার রিয়াল মাদ্রিদকেও ৪ গোল। বিশ্বের সেরা দুই ক্লাব দলকে একই সপ্তাহে জোড়া গোল দিয়ে ইয়ামালরা বুঝিয়ে দিলেন বিশ্ব ফুটবলে পুরনো বার্সেলোনার প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে।