সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে জেলাভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল প্রতিযোগিতা বেঙ্গল সুপার লিগ। চলতি বছরের জুলাইয়ে একঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলারের উপস্থিতিতে বেঙ্গল সুপার লিগের ‘লোগো’ উন্মোচিত হয়েছিল। সেই প্রতিযোগিতার ব্র্যান্ড আম্বাসাডর হয়েছেন ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপজয়ী জার্মান ফুটবলার লোথার ম্যাথাউস। এই লিগে এবার 'ভার'-এর আদলে দেখা যাবে এএআর। থাকছে একগুচ্ছ নয়া নিয়মও।
আইএফএ’র সহযোগিতায় মোট ৮টি ফ্রাঞ্চাইজি দল নিয়ে বাংলাজুড়ে আয়োজিত হতে চলেছে এই টুর্নামেন্ট। তবে কেবল আইএফএ নয়, এই উদ্যোগে রয়েছে শ্রাচী স্পোর্টস এবং জি স্পোর্টস। মোট কথায় তিনের উদ্যোগেই রবিবার শুরু হতে চলেছে বেঙ্গল সুপার লিগ। দলগুলির হোম এবং অ্যাওয়ে ভিত্তিতে মোট ৬১টি ম্যাচ খেলা হওয়ার কথা। খেলবেন ২০০ জন ফুটবলার। প্রতিটি দলে তিনজন করে বিদেশি ফুটবলার খেলানো যাবে। এর পিছনে একটাই কারণ, প্রতিযোগিতাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা।
নতুন রূপে আবির্ভূত হচ্ছে বেঙ্গল সুপার লিগ। সেখানে প্রত্যেক দলের মুখ হবেন বাংলার তারকা ফুটবলাররা। আরও বেশি করে বাংলার ফুটবলার তুলে আনাই লক্ষ্য হতে চলেছে বেঙ্গল সুপার লিগের। বেশ কিছু নিয়মও থাকছে এই লিগে। নতুন নিয়মগুলি কী কী?
১. ফলাফল যাই হোক না কেন, প্রতিটি লিগ ম্যাচের পরে পেনাল্টি শুটআউট হবে। ধরা যাক, ৯০ মিনিট শেষে অমীমাংসিত হল খেলা। বাধ্যতামূলক পেনাল্টি শুটআউটে বিজয়ী দল ৯০ মিনিটের শেষে ভাগ করা ১ পয়েন্টের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ পয়েন্ট পাবে। সেক্ষেত্রে পেনাল্টি শুটআউটে হেরে যাওয়া দল শূন্যহাতে ফিরবে না। প্রথম ৯০ মিনিটে ড্র করার সুবাদে তাদের ঝুলিতে থাকবে ১ পয়েন্ট। উদাহরণ: নিয়মিত সময় শেষ হওয়ার পরে দল A এবং B-এর স্কোর ৯০ মিনিট শেষে অমীমাংসিত থাকে, তাহলে নিয়ম অনুসারে উভয় দলের মধ্যে ১ পয়েন্ট ভাগাভাগি করা হবে। তবে, দল A যদি পেনাল্টি শুটআউটে বিজয়ী হয়, তাহলে তারা অতিরিক্ত ১ পয়েন্ট পাবে। অর্থাৎ A পাবে ১+১ = ২ পয়েন্ট এবং B দল পাবে ১ পয়েন্ট।
২. যদি নির্ধারিত ৯০ মিনিটের মধ্যে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়, তাহলে কী হবে? উদাহরণ: টিম A টিম B-র বিরুদ্ধে জিতলে পেনাল্টি শুটআউটে জয়ী কোনও দল অতিরিক্ত পয়েন্ট পাবে না। তবে পেনাল্টি নিতে আসা ফুটবলার এবং গোলরক্ষকদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের বিচারে তাঁদের পুরস্কৃত করা হবে।
৩. 'ভার'-এর আদলে এবার বেঙ্গল সুপার লিগে এএআর (অ্যাডিশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি)-এর আগমন ঘটতে চলেছে। অর্থাৎ, গোল লাইনের সিদ্ধান্ত এবং পেনাল্টি বক্সের ভেতরে সিদ্ধান্ত তদারকির জন্য থাকবে অ্যাডিশনাল ফিজিক্যাল রেফারির দল।
৪. ইভেন্টের মান বজায় রাখার জন্য আমরা রেফারি রিফ্রেশার কোর্স এবং ওয়ার্কশপও আয়োজিত হবে।
