সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার গোয়ার মাটিতে সুপার কাপের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব এফসি। ৩৫ দিন পর ট্রফিজয়ের যুদ্ধে নামতে চলেছে অস্কার ব্রুজোর দল। সেমির যুদ্ধে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী লাল-হলুদ কোচ। তাঁর একটাই লক্ষ্য, পাঞ্জাবকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা।
পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সপ্তাহ খানেক আগে গোয়ায় চলে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। পাঞ্জাব এফসির মুখোমুখি হওয়ার আগে শুটিং প্র্যাকটিসে একটু বেশিই নজর ছিল ইস্টবেঙ্গল কোচ ব্রুজোর। মঙ্গলবার এবং বুধবারের অনুশীলন মিলিয়ে ঘণ্টা খানেক সময় এই বিষয়ে ব্যয় করলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। বুধবার ম্যাচের আগে ব্রুজো বলেন, "পজিটিভ খেলতে হবে আমাদের। কোনও রকম নেতিবাচক মনোভাব আনা চলবে না। মরশুমের শুরু থেকেই আমরা ভালো খেলছি। দলের মধ্যে কম্বিনেশন তৈরি করাটা খুব প্রয়োজনীয় ছিল। সময় দেওয়াটাও দরকার ছিল। জুলাই থেকে প্রস্তুতি শুরু করেছি। আমরা কয়েকটা প্রাক্ মরশুম ম্যাচও খেলেছি। এই সময়টা আমরা দল গঠনে কাজে লাগিয়েছি।"
স্প্যানিশ কোচ আরও বলেন, "ওরা প্রতি-আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে। নতুন ফুটবলারও এসেছে ওদের দলে। সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে খেলবে ওরা। আমরা শেষ দুই ম্যাচে ওদের হারালেও সেসব এখন অতীত। তবে ওদেরও যেমন বদল এসেছে, আমাদের দলেরও তেমন বদল এসেছে। তাই আমরাও জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাব। আমরা যদি খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, তাহলে আমাদের জেতার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে।" গোয়াতে খেলার অভিজ্ঞতা তাঁর দলের কাজে লাগবে বলেও মন্তব্য করেন ব্রুজো। কার্ড সমস্যায় সেমিফাইনালে দুই নিয়মিত সাইড ব্যাক মহম্মদ উভেইস এবং খাইমিনথাং লুংডিমকে পাবে না পাঞ্জাব। দলে যোগ দিয়েছে নতুন বিদেশি বেডে ওসুজি। এটা নিঃসন্দেহে আক্রমণে শক্তি বাড়বে তাদের।
দলের সুযোগ নষ্টের প্রবণতা চাপে রাখবে ইস্টবেঙ্গল কোচকে। জয় গুপ্তার চোট নিয়ে চিন্তায় লাল-হলুদ শিবির। তবে যা খবর, পুরোদমেই অনুশীলন করেছেন এই সাইড ব্যাক। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে হয়তো খেলবেন তিনি। ব্রুজোর দলের রক্ষণের অন্যতম ভরসা কেভিন সিবিল। থাকছেন মিগেল ফেরেইরা, সল ক্রেসপো, মহম্মদ রশিদ, হামিদ আহদাদ, হিরোশি ইবুসুকিরা। ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশে পাঁচ বিদেশির থাকার সম্ভাবনা প্রবল। তাঁদের নিয়েই সুপার কাপের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা।
