সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফুটবল মাঠে ঝামেলার ঘটনা হামেশাই ঘটে। দুই দলের প্লেয়াররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে লাল কার্ডও দেখেন। কিন্তু সেটা কজন হতে পারেন? একজন-দু'জন-তিনজন-চারজন? কিন্তু যদি বলা হয়, সংখ্যাটা ১৭? বিশ্বাস করা কঠিন? আজ্ঞে হ্যাঁ, মাঠে ঝামেলায় জড়িয়ে এক ম্যাচে ১৭ জন প্লেয়ার লাল কার্ড দেখার ঘটনা ঘটল বলিভিয়ায়।
দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলে একটু বেশিই উন্মাদনা-উত্তেজনা থাকে। কিন্তু সেটা যে ১৭ জনের লাল কার্ড দেখায় শেষ হবে, তা কে জানত? কোপা বলিভিয়ার কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্লুমিং ও রিয়াল অরুরো। ম্যাচ শেষ হয় ২-২ গোলে। প্রথম লেগে ২-১ ব্যবধানে জিতে থাকায় সেমিফাইনালে যায় ব্লুমিং। তবে আসল নাটক শুরু হয় শেষ বাঁশি বাজার পর।
বলিভিয়ার সংবাদমাধ্যম 'এল পোতোসি' জানিয়েছে, ম্যাচের পর হোম টিম অরুরোর প্লেয়ার সেবাস্তিয়ান জেবায়োস, হুলিও ভিয়া ও কোচ মার্সেলো রোবলেদো ব্লুমিংয়ের প্লেয়ারদের উপর চড়াও হন। ব্লুমিংয়ের প্লেয়াররা প্রথমে সেবাস্তিয়ানকে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই শান্ত করা যায়নি তাঁদের। বরং ভিয়া ঘুসি মারতে থাকেন ব্লুমিংয়ের ফুটবলারদের। পালটা তাঁরাও ধাক্কা দিয়ে মার্সেলোকে সরিয়ে দেন। ব্যস, আগুনে ঘি পড়ে। পরে জানা যায়, পড়ে গিয়ে কাঁধের হাড় ভেঙেছে মার্সেলোর। মাথার চোটও গুরুতর।
মার্সেলো চোট পাওয়ার পর দুই দলের প্রায় সব ফুটবলার ও কোচেরা মাঠে নেমে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। মাঠে পুলিশ নেমে টিয়ার গ্যাস চালিয়ে ঝামেলা থামায়। সব মিলিয়ে ১৭টি লাল কার্ডের ঘটনা ঘটে। অরুরোর ৪ জন ফুটবলার, ব্লুমিংয়ের ৭ ফুটবলার ছাড়াও দুই দলের কোচিং স্টাফদের ৬ জনকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর সেটা আরও বাড়তে পারে। তবে কেন ঝামেলার সূত্রপাত, তা জানা যায়নি। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি লাল কার্ড দেখার ঘটনা- ৩৬। দু'টি ম্যাচে এরকম ঘটনা ঘটেছে।
