সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেকব শাফেলবার্গকে না চেনার কথা নয় লিওনেল মেসির (Leo Messi)। কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচে কানাডা উইঙ্গার সৃষ্ট ঝড়-ঝাপটা যদি ছেড়েও দেওয়া যায়, তা হলেও আর্জেন্টিনা মহানায়কের শাফেলবার্গকে মনে থাকা উচিত। গত মার্চে ইন্টার মায়ামির (Inter Miami) বিরুদ্ধে করা শাফেলবার্গের করা জোড়া গোল কি ভুলতে পেরেছেন মেসি? নাসভেল এফসির হয়ে শাফেলবার্গ যা সে দিন করে গিয়েছিলেন?
দোহারা, জার্মান-জাত, সোনালি চুলের শাফেলবার্গের একটা খাসা ডাকনামও আছে। মেরিটাইম মেসি। আসলে শাফেলবার্গের বেড়ে ওঠা নোভা স্কটিয়ায়। যা কি না কানাডার মেরিটাইম প্রভিন্স হিসেবে পরিচিত। যে গ্রামে জন্ম শাফেলবার্গের, সেই পোর্ট উইলিয়ামসে সেখানে চাষবাসই মুখ্য জীবিকা। ছোটবেলাতেই শাফেলবার্গ তাই বুঝে যান যে, জীবনে কিছু করতে গেলে পোর্ট উইলিয়ামস ছাড়তে হবে। নোভা স্কটিয়ায় আর যা-ই হোক, ফুটবল নিয়ে কেরিয়ার গড়া সম্ভব নয়। তা ভ্যাঙ্কুভার, টরোন্টো কিংবা মন্ট্রিয়াল নয়। এমএলএসের (MLS) স্কাউটরাও নোভা স্কটিয়ায় প্রতিভার সন্ধানে যান না। কারণ সেখানকার প্রধান খেলা হল আইস হকি।
[আরও পড়ুন: বিদেশ নয়, দেশের মাটিতেই ‘ড্রিম হোম’, ভারত ছাড়ার জল্পনার মাঝেই পোস্ট বিরাটের]
যে কারণে পনেরো বছর বয়সে কানাডা ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়া। বার্কশায়ার স্কুলে নাম লেখানো। ধীরে ধীরে ফুটবলজীবন শুরু। বর্তমানে তাঁকে লোনে নিয়েছেন নাসভিল। যারা ভাবতে পারেনি, লোনে নেওয়া শাফলবার্গ প্রধান তারকা ফুটবলার হয়ে যাবেন। ৬৮-টা ম্যাচে ন’টা গোল করেছেন তিনি নাসভিলের হয়ে। অ্যাসিস্ট রয়েছে বারোটা। এবং ‘মেরিটাইম মেসি’ নামকরণও তাঁর বিদ্যুৎ গতির বাঁ পায়ের জন্য।
চলতি কোপা আমেরিকায় (Copa America 2024) আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে লা আলবিসেলেস্তেদের ভালো রকম ভুগিয়েছিলেন তিনি। পেরুর বিরুদ্ধে জয়ে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। আবার ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে কানাডার হয়ে গোলটা তিনিই করেন। জাতীয় দলের জার্সিতে এখনও নিয়মিত নন তিনি। কিন্তু তাতে কী? ইউরোপের টিমগুলোর মধ্যে শাফেলবার্গকে নিয়ে ইতিমধ্যেই টানাটানি পড়ে গিয়েছে। এবং কোপা সেমিফাইনালে শাফেলবার্গই আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার নাম।