সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারবার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে চোট। কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে বিশ্বকাপে আগে নিজের যোগ্যতা প্রমাণে মরিয়া ব্রাজিলিয়ান মহাতারকা নেইমার। চোট নিয়েই ক্লাবের জার্সিতে ফাটিয়ে খেলছেন স্যান্টোস তারকা। হাঁটুর যন্ত্রণা উপেক্ষা করেই স্যান্টোসের হয়ে হ্যাটট্রিক করলেন নেইমার। সেই সঙ্গে অবনমনের আশঙ্কা থেকে বাঁচিয়ে নিলেন নিজের ক্লাবকে।
ব্রাজিলিয়ান সেরি আ-তে নেইমারের হ্যাটট্রিকে জুভেন্তুজেকে ৩-০ গোলে হারাল স্যান্টোস। এই ম্যাচের আগে শেষবার নেইমার হ্যাটট্রিক করেছিলেন ২০২২ সালের এপ্রিলে। তখনও তিনি পিএসজি-র হয়ে খেলতেন তিনি। দিন কয়েক আগেই বাঁ-হাঁটুর চোট নিয়ে মাথের বাইরে ছিটকে যান তিনি। সেই চোট সারাতে মরশুম শেষে আর্থ্রোস্কোপিক সার্জারি করাতে পারেন ৩৩ বছর বয়সী তারকা। আপাতত পেইন কিলার নিয়ে তিনি খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। উদ্দেশ্য দুটি। এক, নিজের ক্লাবকে রেলিগেশনের লড়াই থেকে টেনে তোলা। দুই, নিজের জন্য বিশ্বকাপের দরজা খোলা। আপাতত প্রথম কাজটা তিনি করে ফেলেছেন। জুভেন্তুজের বিরুদ্ধে জয়ের ফলে অবনমনের খাড়া থেকে আপাতত অনেকটাই নিরাপদে স্যান্টোস।
কিন্তু দ্বিতীয় দরজাটা এখনও খুলবে কিনা নিশ্চিত নয়। আসলে বহুদিন ধরেই ব্রাজিল দলের বাইরে নেইমার। ব্রাজিলের হয়ে শেষবার খেলেছেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে। এমনকী পরের বছর বিশ্বকাপে ব্রাজিল কোচ কার্লো আন্সেলোত্তি যে দল পরিকল্পনা করছেন, তাতে নেইমারের জায়গা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। দুই বছরের বেশি সময় তাঁর গায়ে বিখ্যাত হলুদ জার্সি ওঠেনি। যোগ্যতা অর্জন পর্বে ডাক পাননি।
কিন্তু নেইমারের জন্য সমস্যার বিষয় হল, অ্যান্সেলোত্তির অধীনে একটা ম্যাচও তিনি খেলতে পারেননি। যার ফলে তাঁকে সেভাবে পরীক্ষা করে নেওয়ার সুযোগ পাননি ইটালিয় কোচ। বরং তিনি নেইমারের বিকল্প হিসাবে একঝাঁক তরুণকয়ে দিয়ে দল সাজিয়ে ফেলেছেন। ফলে এরপর নেইমার ফিট হলেও আর তিনি ছাব্বিশের বিশ্বকাপে সুযোগ পাবেন কিনা, সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
