স্টাফ রিপোর্টার: আড়াই মাসেরও বেশি সময় অপেক্ষার পর জয়ের দেখা পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে তাতে বিশেষ স্বস্তি পাওয়ার উপায় নেই লাল-হলুদ শিবিরে। কারণ শুক্রবার এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ নেজমেহ এসসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচটা তাদের জন্য কার্যত মরা-বাঁচার। হারলে তো বটেই, না জিতলেও কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে যাবে। আর গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে ডিফেন্ডার হেক্টর ইউস্তের খেলা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
দীর্ঘদিন পর এএফসি-র মঞ্চে ফিরে বেশ ভালো ছন্দেই রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। পারো এফসি-র সঙ্গে ড্র করে টানা আট ম্যাচ হারের পর একটা পয়েন্ট পেয়েছিল তারা। এরপর বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নকআউট পর্বের দৌড়ে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছেন নন্দকুমাররা। শুধু দীর্ঘ ৮২ দিন পর জয়ের দেখা পাওয়াই নয়, মরশুমে এই প্রথম কোনও ম্যাচে ক্লিনশিট রাখতে পেরেছে লাল-হলুদ ডিফেন্স।
তবে সেই ম্যাচের ৫৫ মিনিট নাগাদ হেক্টর ইউস্তে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। টানা দুই জয়ে গ্রুপ শীর্ষে থাকা নেজমেহ-র বিরুদ্ধে নামার আগে সেটাই কাঁটা লাল-হলুদের। টিম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে এমআরআই হয়েছে স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের। শুক্রবার সকালে সেই রিপোর্ট আসবে। দলের সঙ্গে থিম্পু স্টেডিয়ামে অনুশীলনে এলেও মাঠে নামেননি হেক্টর, ছিলেন সাইড লাইনের বাইরে। তাঁর খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা রাখলেন কোচ অস্কার ব্রুজোও। “কাল সকালে মেডিক্যাল রিপোর্ট পাব। তারপর আলোচনা করে হেক্টরের খেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব,” এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন তিনি। হেক্টর না খেললে আনোয়ার আলি ফিরবেন সেন্ট্রাল ডিফেন্সে। সেক্ষেত্রে মহম্মদ রাকিপের রাইট ব্যাক হিসাবে খেলার সম্ভাবনা বেশি।
এমনিতে লেবাননে উত্তেজনার জন্য মরশুমের শুরুতে সেভাবে ম্যাচ খেলেনি নেজমেহ। বসুন্ধরার বিরুদ্ধে তাদের খেলা স্টেডিয়ামে বসে দেখেছেন কোচ অস্কার। পরে পারো-র বিরুদ্ধে তাদের খেলা লাল-হলুদ কোচ দেখেছেন ইউটিউবে। সেখান থেকে ধারণা নিয়েই স্ট্র্যাটেজি তৈরি করছেন তিনি। তবে ম্যাচ জেতা ছাড়া যে আর কোনও ভাবনা নেই তাঁর, স্পষ্ট করে দিয়েছেন অস্কার। দলের তারকা বিদেশি সল ক্রেসপোও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না হেক্টর নিয়ে ওঠা প্রশ্নকে। বরং তাঁর দাবি, দলে হেক্টরের বদলি আছে।