সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএলে জয়ের হ্যাটট্রিক। টানা তিন ম্যাচ জয় পেয়ে ছুটছে মোহনবাগানের বিজয়রথ। যে হায়দরাবাদ কলকাতায় এসে মহামেডানকে ৪ গোল মেরে গিয়েছিল, তাদের ডেরায় গিয়ে জয় পেয়েছে সবুজ-মেরুন বাহিনী। ২-০ গোলে জিতলেও ব্যবধানটা বাড়তে পারত। তবে মোহনবাগান কোচ মোলিনাকে তৃপ্তি দিচ্ছে গোলমুখ অক্ষত রাখা।
আসলে মরশুমের শুরু থেকে মোলিনার দলকে একটা প্রশ্নে বারবার ক্ষতবিক্ষত হতে হচ্ছিল। সেটা হল ডিফেন্সের দুর্বলতা। আক্রমণভাগের ফুটবলাররা নিয়মিত গোল করে গেলেও ক্লিনশিট রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। সেখান থেকে শেষ তিন ম্যাচে ৭ গোল দিয়ে একটিও গোল খায়নি মোহনবাগান। যার মধ্যে আছে দুটি ডার্বি। হায়দরাবাদকে উড়িয়ে দিয়ে মোলিনার বক্তব্য, "এই ফলে আমি খুশি। গোল অক্ষত রেখে টানা জয় পেয়েছি। এটা খুবই ভালো ব্যাপার। সেটার জন্য আরও বেশি খুশি। ম্যাচটা কঠিন ছিল। হায়দরাবাদ শুরু থেকেই আমাদের চাপে রাখার চেষ্টা করেছিল। ওদের আক্রমণেও যথেষ্ট তীব্রতা ছিল। তবে আমাদের ডিফেন্ডাররা আজ নিজেদের ভালোভাবে গুছিয়ে রেখেছে। তাই আমরা গোল খাইনি।”
ম্যাচের শুরুর দিকে কিছুটা চেষ্টা করেছিল হায়দরাবাদ। তার পর বাকিটা সবুজ-মেরুন ঝড়। ৩৭ মিনিটে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেয় মনবীর সিং। দ্বিতীয় গোল ৫৫ মিনিটে অধিনায়ক শুভাশিস বোসের। যদিও ব্যবধানটা আরও বাড়তে পারত। সেই বিষয়ে মোলিনার বক্তব্য, "মনবীর একটা ভালো সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গোল করে। তার পর থেকেই ম্যাচটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ওদের চেয়ে আমরাই বেশি বল পায়ে রাখতে পেরেছি। গোলের সুযোগও তৈরি করেছি বেশি। দ্বিতীয়ার্ধে আরও গোল করতে পারতাম। সব মিলিয়ে দলের এই পারফরম্যান্সে আমি খুশি।”
পরের ম্যাচ ১০ নভেম্বর, ওড়িশার বিরুদ্ধে। অর্থাৎ মাঝে অনেকটা সময়। তাতে কি সুবিধা হবে? নাকি খেলার ছন্দ ক্ষতিগ্রস্ত হবে? মোলিনা বলছেন, "সত্যিই দীর্ঘ বিরতি থাকছে আমাদের ম্যাচের মধ্যে। তবে এটাও ঠিক খেলোয়াড়রা অনেক বেশি বিশ্রাম পাচ্ছে। আমরাও শারীরিক ও কৌশলগত সমস্যাগুলো সমাধান করার সময় পেয়ে যাচ্ছি। পরিশ্রম করা যেমন জরুরি, সেই সঙ্গে বিশ্রামও জরুরি।”