স্টাফ রিপোর্টার: টানা হারের ধাক্কা কাটিয়ে অক্সিজেন পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে তা এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে। আইএসএলে এখনও সেই তিমিরেই রয়েছে লাল-হলুদ। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য শনিবারের মহামেডান ম্যাচই এখন পাখির চোখ তাদের। দায়িত্ব নেওয়ার পর আইএসএলে নিজের প্রথম দু’টো ম্যাচে হার জুটেছে কোচ অস্কার ব্রুজোর বরাতে। তাই দলের হারের ধারা ডবল হ্যাটট্রিকেই থামানোর পাশাপাশি নিজের হারের হ্যাটট্রিক এড়ানোও এখন বড় চ্যালেঞ্জ লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচের। তাই মহামেডানের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা নিশ্ছিদ্র করতে কোনও পথই বাকি রাখছেন না তিনি।
বৃহস্পতিবার অনুশীলনে দেখা গেল, ডিফেন্সে বেশ রদবদল করেছেন অস্কার। আধঘণ্টা ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের পর শুধু প্রথম একাদশের ফুটবলারদের নিয়ে কাজ শুরু করলেন তিনি। সল ক্রেসপো, মাদিহ তালালদের নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড় করিয়ে বল পায়ে নিজেই মাঠে নেমে পড়েন অস্কার। অন্য সময়ের মতো দু’টো দলে ভেঙে নয়, শুধু ১১ জন ফুটবলারকে নিয়ে তাঁদের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়ানোর উপর জোর দিলেন স্প্যানিশ কোচ। দীর্ঘক্ষণ নিজেদের মধ্যে পাস খেললেন দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকস, নন্দকুমাররা।
আর সেখানেই দেখা গেল চমক! ডিপ ডিফেন্সে আনোয়ার আলির সঙ্গে জুটি বাঁধলেন জিকসন সিং। অনুশীলনের বাকি সময়টা প্রথম দলের রক্ষণ সামলালেন এই দুই ফুটবলারই। লেফট ব্যাক থাকছেন লালচুংনুঙ্গা। রাইট ব্যাক হিসাবে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে অস্কার খেলালেন নিশু কুমার ও মহম্মদ রাকিপকে। হেক্টর ইউস্তে নেই। হাতে থাকা একমাত্র বিদেশি ডিফেন্ডার হিজাজি মাহেরকে পুরো সময়টাই দ্বিতীয় দলে রাখলেন অস্কার। তবে কি মহামেডানের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ স্বদেশি ডিফেন্স নিয়ে নামবে ইস্টবেঙ্গল? ইঙ্গিত তেমনই। শোনা যাচ্ছে, এমনিতেই হিজাজির পারফরম্যান্সে খুশি নন অস্কার। তার উপর বুধবার কোচের নির্দেশ একপ্রকার উপেক্ষাই করেছেন তিনি। যার ফলাফল দেখা গিয়েছে অনুশীলনে। এএফসি-তে নেজমেহ এসসি ম্যাচে খেলা দলের অন্য অংশে অবশ্য বদলের তেমন সম্ভাবনা নেই। চোটের শঙ্কা উড়িয়ে গোলকিপার প্রভসুখন গিলও এদিন অনুশীলন করলেন পুরোদমে।
মহামেডান ম্যাচে পুরো পয়েন্ট নিয়েই লিগ টেবলে খাতা খুলতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটন সিলভা যেমন বলছিলেন, “আমাদের সামনে জেতা ছাড়া উপায় নেই। তাছাড়া ম্যাচটা ডার্বি। গুরুত্ব তো দিতেই হবে।” ডার্বিতে অবশ্য এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড পরিবর্ত হিসাবেই নামবেন। আসলে শেষ চার ম্যাচে পাঁচ গোল করে দুরন্ত ফর্মে আছেন দিমিত্রিয়স। যে পারফরম্যান্সে নিজের পাশাপাশি দলের চাপও কমিয়েছেন লাল-হলুদের গ্রিক গড। যদিও চাপের কথা মানছেন না তিনি। বলছিলেন, “গোল করেছি বলে চাপ কমল, এমন নয়। আমি গোল না পেলেও চাপে থাকি না। আমার কাছে দলের জয়টাই মূল কথা।” ঠিকই বলেছেন। ইস্টবেঙ্গলের জয়ের জন্য যে দিমিত্রিয়সের ফর্মে থাকাটা প্রয়োজন, তা আর নতুন করে বলার প্রয়োজন আছে কি?