স্পেন: ২ (ইয়ামাল, ওলমো)
ফ্রান্স: ১ (মুয়ানি)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউরোয় প্রথমবার ফিল্ড গোল ফ্রান্সের। পালটা দিতে নজির গড়া গোল স্পেনের। মঙ্গলবার রাতে এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জমে উঠল ইউরো সেমিফাইনাল। ৯০ মিনিটের দুরন্ত ম্যাচ শেষে জয়ের হাসি স্পেনের মুখে। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল ফ্রান্স। সেই সঙ্গে পেলের রেকর্ড ভেঙে কনিষ্ঠতম ফুটবলার হিসাবে কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে নামার নজির গড়লেন স্পেনের লামিন ইয়ামাল। ইউরোর ইতিহাসে কনিষ্ঠতম হিসাবে গোলও করলেন তরুণ স্প্যানিশ তারকা।
গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ইউরোয় (Euro Cup 2024) ওপেন প্লে থেকে গোল করতে পারেনি ফ্রান্স। সেই নিয়ে লাগাতার সমালোচনার মুখে পড়েছেন দিদিয়ের দেশঁর ছাত্ররা। নাকের চোটে কাবু হয়ে পড়া কিলিয়ান এমবাপেকেও দেখা যায়নি নিজের চেনা ছন্দে। কিন্তু সেমিফাইনালের মরণবাঁচন ম্যাচে মাস্ক খুলে মাঠে নেমেই দুরন্ত পারফরম্যান্স ফরাসি তারকার। তাঁর দুরন্ত ক্রসে মাথা ছুঁইয়েই টুর্নামেন্টে 'প্রথম' গোল করল ফ্রান্স। ৯ মিনিটে কোলো মুয়ানির গোলে এগিয়ে যায় ২০১৮ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
যদিও ম্যাচে প্রথম গোল করার সুযোগ এসেছিল স্পেনের (Spain) কাছেই। মাত্র ৫ মিনিটে ইয়ামালের ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি রুইজ। তবে গোল খাওয়ার পরে দুরন্ত কামব্যাক স্পেনের, নেপথ্যে সেই রেকর্ড গড়া ইয়ামাল। ম্যাচের বয়স ২১ মিনিট গড়াতেই বক্সের বাইরে থেকে চোখধাঁধানো শট নেন ১৬ বছর বয়সি তারকা। গোলকিপারের মাথার পাশ দিয়ে জালে জড়িয়ে যায় বল।
[আরও পড়ুন: মেসি আর কোপা ফাইনালের মাঝে কাঁটা শুধু ‘মেরিটাইম মেসি’!]
ইতিহাস গড়া গোলে সমতা ফিরতেই রক্তের স্বাদ পাওয়া বাঘের মতো ফ্রান্সের ডিফেন্স ফালাফালা করে দিতে শুরু করেন নিকো উইলিয়ামস-দানি ওলমোরা। ইয়ামালের গোলের পর চার মিনিট গড়াতেই ফের গোল করেন লুইস দে লা ফুয়েন্তের ছাত্ররা। ইয়ামালের অনবদ্য পাসে পা ছোঁয়ান ওলমো। ডান পায়ে তাঁর শট আটকাতে চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন কৌন্দে। মাত্র চার মিনিটের ঝোড়ো পারফরম্যান্স জোড়া গোল করে ২-১ এগিয়ে যায় স্পেন।
পিছিয়ে পড়ার পরে বেশ কয়েকবার গোল শোধের চেষ্টা করেছে ফ্রান্স (France)। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ম্যাচে দাপট ছিল এমবাপে-দেম্বেলেদেরই। একাধিক কর্নার থেকে তৈরি হয় গোলের সুযোগ। কিন্তু স্প্যানিশ গোলকিপার সিমোনকে সেভাবে সেভ করতেই হয়নি। কারণ ডিফেন্সের জাল ভেদ করে গোল মুখ পর্যন্ত পৌঁছতেই পারেননি ফরাসি ফরোয়ার্ডরা। দেশঁর একের পর এক পরিবর্তনে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়লেও গোল হয়নি। শেষ ১০ মিনিটের জন্য মাঠে নামেন ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতা অলিভিয়ের জিরু। ম্যাচের শেষ প্রান্তে এসে মরিয়া চেষ্টা করেন এমবাপে। কিন্তু স্পেনের দুর্ভেদ্য ডিফেন্সের প্রাচীরে আটকে যায় ফরাসি আক্রমণ। কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে রক্ষণ সামলাতে গিয়ে ভুগতে হয়েছিল। কিন্তু এদিন আর ডুবল না স্প্যানিশ আর্মাডা। আক্রমণ আর রক্ষণের নিখুঁত মিশেলে ইউরো ফাইনালে স্পেন।