সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনা ছিলই। শোনা যাচ্ছিল বিশ্বকাপে মরক্কোর কাছে অপ্রত্যাশিত হারের জেরে চাকরি খোয়াতে হতে পারে পর্তুগালের কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোসকে। শেষমেশ তিনি নিজেই চাকরি ছাড়লেন। শুধু ছাড়লেন বলা ভুল, রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অব্যাহতি নিলেন।
বিশ্বকাপ চলাকালীন সবচেয়ে বেশি বিতর্ক যে কোচকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল, তিনি ফের্নান্দো স্যান্টোস (Fernando Santos)। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) মতো মহাতারকাকে যেভাবে তিনি বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন, সেটা বিশ্বকাপের মধ্যে 'টক অফ দ্য ওয়ার্ল্ড' হয়ে যায়। সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও ঘুরিয়ে স্যান্টোস সাফ বলে দিচ্ছেন, তিনি যা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সবটা দলের স্বার্থে। দলের সবার যে সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি, সেটাও স্পষ্ট বলে দিয়েছেন স্যান্টোস।
[আরও পড়ুন: প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ভেলকি কুলদীপের, প্রথম টেস্টে বেসামাল বাংলাদেশের ব্যাটিং]
পর্তুগালের (Portugal) বিদায়ী কোচ বলে দিয়েছেন, পর্তুগালের কোচিং করানোটা আমার স্বপ্ন ছিল। আমার জীবনের সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। তবে সবকিছু নতুন করে শুরু করার এটাই সঠিক সময়। এরপরই স্যান্টোস বলেন,"যখন তুমি কোনও দলের নেতৃত্ব দেবে, তোমাকে কিছু কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। স্বাভাবিকভাবেই আমার নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি দলের সবার পছন্দ হয়নি। কিন্তু আমি যখন যা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সবটাই দলের স্বার্থের কথা ভেবে।"
[আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপির কোন্দলে বিরক্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, শুভেন্দুকে ডেকে সমঝে দিলেন বিএল সন্তোষ]
স্যান্টোস পর্তুগালের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল কোচের মধ্যে একজন। ২০১৪ সালে তিনি জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন। তাঁর কোচিংয়েই ২০১৬ সালের ইউরো কাপ (Euro Cup) জেতে পর্তুগাল। রোনাল্ডো সেই দলের সদস্য ছিলেন। ২০১৮-১৯ সালে স্যান্টোসের কোচিংয়েই উয়েফা নেশনস লিগ (UEFA Nations League) জেতে পর্তুগাল। তবে এ হেন কোচের বিদায়টা হল বিতর্কিতভাবে। শোনা যাচ্ছে, স্যান্টোসের জায়গায় পর্তুগালের কোচ হিসাবে আনা হতে পারে হোসে মোরিনহোকে। ইতিমধ্যেই নাকি পর্তুগিজ এফএ'র তরফ থেকে মোরিনহোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পর্তুগাল এফএ'র প্রস্তাব, মোরিনহো চাইলেন ক্লাব এবং দেশ দুটোর কোচিং একসঙ্গে করাতে পারেন।