প্রসূন বিশ্বাস ও অর্পণ দাস: হাজার হাজার টাকা খরচ করে টিকিট কেটেছিলেন। ডিসেম্বরের শীত উপেক্ষা করে কাকভোরে এসে ভিড় জমিয়েছিলেন যুবভারতী স্টেডিয়ামে। একটাই কারণ, লিওনেল মেসিকে একটিবার দেখা। কিন্তু ভিআইপিদের ভিড়ে মেসিকেই দেখতে পেলেন না ভক্তরা! তাই রাগে-ক্ষোভে-দুঃখে মাঠে বোতল ছুঁড়লেন। ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েছেন দর্শকরা। সব মিলিয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন একেবারে রণক্ষেত্র।
শনিবার নির্ধারিত সময়েই যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছে যান মেসি। মাঠে ঢোকেন লুইস সুয়ারেজ এবং রডরিগো ডি'পলকে সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু আয়োজক-সহ অন্যান্যদের ভিড়ে কার্যত ঢাকা পড়ে যান মেসি। তিনি হাসিমুখে হাত নাড়ছিলেন দর্শকদের দিকে। কিন্তু গ্যালারিতে বসে থাকা দর্শকরা সেটা দেখতেই পাননি। মেসির আশেপাশে অন্তত ৫০জনের ভিড় ছিল। তাই মেসিকে দেখার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল দর্শকদের।
চড়া দামে টিকিট কেটে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও ভিআইপিদের ভিড়ে যখন মেসির একঝলক দেখা পাওয়াটা দুষ্কর, সেই সময়েই গ্যালারির পারদ চড়তে থাকে। সম্ভবত দর্শকদের ক্ষোভ আঁচ করতে পেরেই নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ থেকে মেসিকে বের করে নেন আয়োজকরা। আর ধৈর্য্য ধরতে পারেননি মেসির ভক্তরা। মাঠে বোতল ছুঁড়তে থাকেন, গ্যালারিতে থাকা মেসির ছবি দেওয়া ব্যানার ছিড়ে ফেলেন। এখানেই শেষ নয়। মাঠের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়েন উন্মত্ত জনতা। গ্যালারির সিট ভেঙে ছুড়ে ফেলতে থাকেন মাঠের ভিতরে।
মাঠের ভিতরে ঢুকে হাতের কাছে যা পেয়েছেন তাই দিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন মেসিভক্তরা। ভেঙে দেওয়া হয় প্লেয়ারদের টানেল, ক্যানোপি। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা যুবভারতী ছেড়ে দ্রুত বেরিয়ে যান মেসি। স্টেডিয়াম থেকেই তিনি রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে। এদিন মেসির সঙ্গে এক মঞ্চে থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁকেও বাধ্য হয়ে যুবভারতী যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়। মেসিভক্তরাও হতাশ, প্রিয় ফুটবলারকে এমন খারাপ অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরতে হল সিটি অফ জয় থেকে।
