সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi) দেখতে না পাওয়ার ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন! কারি কারি টাকা দিয়ে টিকিট কেটে, ভোররাত থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করেও ঈশ্বরের দর্শনপ্রাপ্তি অধরা। আর সেই রাগে-দুঃখেই ময়দানে আছড়ে পড়েন বিক্ষুব্ধ জনতা। এককথায় মেসির কলকাতা সফর ঘিরে 'উত্তপ্ত' শীতের তিলোত্তমা! ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বললেও অত্যুক্তি হয় না। আর এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে 'মেসি সাক্ষাতে'র ছবি পোস্ট করে নেটভুবনের রোষানলে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhashree Ganguly)।
শনিবার টলিউড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধি হিসেবে যুবভারতীতে আমন্ত্রিত ছিলেন শুভশ্রী। আগেভাগেই 'লেডি সুপারস্টার'-এর উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে 'ফুটবলের রাজপুত্র'কে স্বাগত জানাতে মাঠে পৌঁছন অভিনেত্রী। সাক্ষাত সারার পর মেসি, সুয়ারেজের মধ্যমণি ফটোশিকারিদের ক্যামেরায় হাসিমুখে পোজও দিতে দেখা যায় শুভশ্রীকে। দর্শকাসনে বসে থাকা জনতা তখন মেসিকে দেখতে না পাওয়ার ক্ষোভে ফুটছে! যুবভারতীর এহেন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য যখন উদ্যোক্তারা কাঠগড়ায়, তখন এহেন রণক্ষেত্র পরিস্থিতির মাঝে মেসির সঙ্গে ছবি শেয়ার করে বেধড়ক ট্রোলের শিকার হতে হল শুভশ্রীকে।
অভিনেত্রীর শেয়ার করা হাসিখুশি ছবি দেখে মেসি ভক্তদের রাগের পারদ আরও চড়ল, বললেও অত্যুক্তি হয় না। কারও কটাক্ষ, 'জনতার টাকায় আপনারা ফুটেজ খাচ্ছেন', তো কেউ বা আবার শুভশ্রীকে 'সময়জ্ঞানে'র পাঠ পড়ালেন। তাঁদের মন্তব্য, 'যুবভারতী যখন রণক্ষেত্র, তখম এমতাবস্থায় মেসির সঙ্গে ছবি দিয়ে কেন অনুরাগীদের দুঃখ বাড়াচ্ছেন?' কেউ কেউ আবার শুভশ্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, 'আপনি ফুটবল খেলা দেখেন বা বোঝেন?' একাংশ আবার উদ্যোক্তা এবং অভিনেত্রীকে একসঙ্গে কাঠগড়ায় রেখে তোপ দাগলেন, 'জনতার চাঁদায় ফূর্তি হচ্ছে!' এহেন নানা মন্তব্যের ভিড় নেটভুবনে।
প্রসঙ্গত, শনিবার নির্ধারিত সময়েই যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন মেসি। কিন্তু আয়োজক-সহ অন্যান্যদের ভিড়ে এবং ছবির বায়নাক্কায় কার্যত ঢাকা পড়ে যান মেসি। হাসিমুখে গ্যালারির উদ্দেশে হাত নাড়লেও সেটা দেখতে পাননি দর্শক। কারণ কিংবদন্তি ফুটবলারকে ঘিরে রেখেছিল অন্তত ৫০জনের ভিড়। এদিকে মেসিকে দেখতে না পাওয়ার ক্ষোভের আঁচ করতে পেরেই সম্ভবত নির্ধারিত সময়ের আগে তাঁকে মাঠ থেকে বের করে নেন আয়োজকরা। তার পর ধৈর্যের বাঁধ ধরে রাখতে পারেননি ভক্তরা। কেউ মাঠে বোতল ছুঁড়ে, কেউ বা চেয়ার-ব্যারিকেড ভেঙে, পোস্টার পুড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা শুরু করেন।
