শিলাজিৎ সরকার: ক্রমাগত হেরে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। কার্লেস কুয়াদ্রাতের বিদায়েও সুরাহা মেলেনি। আইএসএলে খোলেনি পয়েন্টের খাতাও। নতুন কোচ অস্কার ব্রুজো এসে 'মির্যাকল' ঘটাতে পারবেন কি? যদিও তার আগেই ডার্বি। আইএসএলের প্রথম বড় ম্যাচের আগে যদিও রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী অন্তর্বর্তীকালীন কোচ বিনো জর্জ। জানিয়ে দিলেন চাপে থাকবে মোহনবাগানই।
ডার্বির দিন সকাল-সকাল চলে আসার কথা অস্কারেও। ডাগ আউটেও তাঁরই থাকার কথা। কিন্তু প্র্যাকটিস করাচ্ছেন বিনো। দুইয়ের তালমিল কীভাবে সম্ভব, তা আপাতত বোঝার উপায় নেই। যদিও সল ক্রেসপোকে পাশে বসিয়ে বিনো বলে গেলেন, "হেড কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কীভাবে পরিকল্পনা সাজানো যায়, সেই বিষয়ে রোজই কথা হয়। চাপের কিছুই নেই। আমাদের ছক তৈরি। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী চলব। ম্যানেজমেন্ট তো যথেষ্ট ভালো দল করেছে।"
তবে এদিন বিনো যে ঢংয়ে কথা বললেন, তাতে বোঝাই যাচ্ছিল, এই টিমটার নাড়িনক্ষত্র তাঁর আয়ত্তে। আর তাতে বিন্দুমাত্র দুশ্চিন্তা নেই। কে বলবে, দলটা চার ম্যাচ হেরে ডার্বিতে নামছে? যেখানে দল ভর্তি তারকা। সবার আগে প্র্যাকটিস শুরু করেছে। বিনোর যুক্তি, "আগের ম্যাচে আমরা প্রচুর অ্যাটাক করেছি। কিন্তু এটাই ফুটবল। হতেই পারে। যেদিন গোল করা সম্ভব হবে, জিতব।" তার পরই হাসতে হাসতে বলে রাখলেন, "আমাদের কোনও চাপ নেই। আমরা লড়াই করব। চাপে তো থাকবে মোহনবাগানই। ইস্টবেঙ্গল পিছিয়ে থেকে শুরু করবে না। বাকিটা মাঠেই দেখতে পারবেন।"
কীভাবে এত আত্মবিশ্বাস? বিনোর মুখে উঠে এল কলকাতা লিগের কথা। সেখানেও তো জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দুটো লিগের মধ্যে যে আকাশ-পাতাল তফাৎ, সেটা নিশ্চয়ই নতুন করে বলার নেই। যার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ডুরান্ড, এএফসি ও আইএসএলের চারটি ম্যাচে। বিনো বলছেন, "আমরা সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছি। আগের ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি, কাল আমরা আরও ভালো খেলব। ভালো-মন্দ তো চলেই। আমার কাছে তাঁদের মোটিভেট করা। ভুল শুধরে দেওয়া।"
অতীতের রেকর্ড ভুলতে চাইছেন সল ক্রেসপোও। সেই সঙ্গে প্রথম তিন পয়েন্ট ঘরে আনতে চাইছেন সমর্থকদেরও। বিপক্ষ কী করছে, কী ভাবছে তা নিয়ে চিন্তিত নন সল। বরং ইস্টবেঙ্গলের মিডফিল্ডার নিজেদের পরিকল্পনাতেই সাফল্যের আশা দেখছেন।