মোহনবাগান: ১ (মনবীর)
ওড়িশা: ১ (হুগো বুমো)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএলে জয়ের হ্যাটট্রিকের পর ওড়িশার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিল মোহনবাগান। চোটের জন্য দলে নেই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার গ্রেগ স্টুয়ার্ট। বিপক্ষে আবার দুই প্রাক্তন সবুজ-মেরুন তারকা, হুগো বুমো ও রয় কৃষ্ণ। এরই মধ্যে ম্যাচের দুমিনিটের মাথায় পিছিয়ে পড়ে মোলিনার দল। সেখান থেকে কামব্যাকের চেষ্টা করছিলেন মনবীররা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সফল হল না। ওড়িশার সঙ্গে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে মোহনবাগানকে।
নাটক শুরু হয় বল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ২ মিনিট। ডানদিক থেকে ভেসে আসা একটি ক্রস বক্সের মধ্যে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে সমস্যা বাড়ান মোহনবাগানের ডিফেন্ডার আশিস রাই। সেই বল সোজা চলে যায় গোলকিপার বিশাল কাইথের হাতে। আশ্চর্যজনকভাবে বক্সের মধ্যে ইনডিরেক্ট ফ্রিকিকের নির্দেশ দেন রেফারি ক্রিস্টাল জন। অথচ বলটা ক্লিয়ার করতেই গিয়েছিলেন আশিস। আর সেই সুযোগে গোল করে যান মোহনবাগানের প্রাক্তনী হুগো বুমো।
কিছুক্ষণ পর ফের সুযোগ আসে ওড়িশার কাছে। এবার গোল করতে পারতেন আরেক প্রাক্তনী রয় কৃষ্ণ। সেক্ষেত্রে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন বিশাল। তার পর অবশ্য ছন্দে ফেরে মোহনবাগান। গ্রেগ স্টুয়ার্টের অভাব পুষিয়ে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন দিমি পেত্রাতোস। বিশেষ করে, সেট পিসের সাহায্যে গোলের মুখ খোলার চেষ্টা করতে থাকেন ম্যাকলারেনরা। সেটা কাজে লাগল ম্যাচের ৩৬ মিনিটে। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল দুরন্ত হেডে জালে জড়িয়ে দেন মনবীর সিং। ওড়িশার গোলকিপার অমরিন্দর হাত ছুঁইয়েও তা আটকাতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া চেষ্টা চালায় দুই দলই। ওড়িশার ডিফেন্ডারদের ভুল বোঝাবুঝিতে সুযোগ এসে গিয়েছিল ম্যাকলারেনের সামনে। সে যাত্রা রক্ষা করেন অমরিন্দর। বিপরীতে বিশালের হাতে একাধিকবার পতনের হাত থেকে বাঁচে মোহনবাগান। গোল না পেলেও ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন রয় কৃষ্ণ। শেষের দিকে অনেকগুলি বদল করেন মোলিনা। নামেন কামিন্স, সাহালরা। তাতেও অবশ্য গোলের মুখ খুলল না সবুজ-মেরুনের জন্য। ভুবনেশ্বর থেকে এক পয়েন্ট নিয়েই ফিরে আসতে হবে তাদের। ৭ ম্যাচে মোলিনার দলের পয়েন্ট দাঁড়াল ১৪। লিগ তালিকায় আছে দ্বিতীয় স্থানে।