স্টাফ রিপোর্টার : শনিবার চেন্নাইয়িন এফসি বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের বয়স তখন ৪৯ মিনিট। লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজোর একটা সিদ্ধান্তে হঠাৎ করে চমকে গিয়েছিলেন সবাই।
কী সেই সিদ্ধান্ত?
দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকসকে তুলে ক্লেটন সিলভাকে মাঠে আনার সিদ্ধান্ত। প্রথমজন লাল-হলুদ জার্সিতে শেষ ছয় ম্যাচে ছয় গোল করা ফরোয়ার্ড। তাকে তুলে কোচ অস্কার নামালেন এমন একজনকে যিনি চলতি মরশুমে গোলের দেখাই পাননি। চেন্নাইয়িনের দুর্ভেদ্য ডিফেন্স ভাঙতে নাকি সেই ফরোয়ার্ডকেই হাতিয়ার করলেন! কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, এই পরিবর্তনের পরই বদলে গেল লাল-হলুদের খেলা। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ল ইস্টবেঙ্গল। ঠিক কোন মন্ত্রে বদল আনলেন অস্কার? ম্যাচ শেষে বলছিলেন, “প্রথমার্ধে আমরা ট্যাকটিকালি একটু পিছিয়ে ছিলাম। তবে ক্লেটন আসায় মাঝমাঠে আমাদের দখল বাড়ে। মহেশ অনেকটা ফ্রি হয়ে খেলা শুরু করে। তালালও নেমে আসে প্রয়োজনে। আর বলের দখল আমরাই নেওয়া শুরু করি। চেন্নাইয়িন গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে উঠে আসে। তাতেই আমরা শেষদিকে বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করি।”
এদিন প্রথমার্ধে যেন একটু গুটিয়েই ছিল ইস্টবেঙ্গল। অস্কার জানাচ্ছেন, সেটা তাঁর পরিকল্পনারই অঙ্গ ছিল। “মনে রাখতে হবে, আমরা হেক্টর এবং নুঙ্গাকে ছাড়া খেলছি। ডিফেন্সে দু’টো বদল করতে হয়েছে। জানতাম চেন্নাইয়িন ফিজিক্যাল ফুটবল খেলে। তাই ওদের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে ক্লান্ত হতে চাইনি। বরং অপেক্ষা করেছি সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য!” বলছিলেন লাল-হলুদ কোচ। পরিবর্ত হিসাবে নেমে দুরন্ত পারফর্ম করা জিকসন সিংয়েরও প্রশংসা করেছেন অস্কার।