সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা ফুটবলবিশ্বকে কাঁদিয়ে চলতি বছরেই না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন দিয়োগো জোটা। বছরশেষে প্রিয় সতীর্থের জন্য আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি করলেন জোটার ক্লাব লিভারপুলের ফুটবলাররা। শনিবার ইপিএলে উলভসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল লিভারপুল। সেই ম্যাচেই চোখে জল এনে দেওয়া পদক্ষেপ করলেন দুই দলের ফুটবলাররা।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জোটার কেরিয়ার শুরু হয়েছিল উলভসের জার্সিতেই। ২০১৭ থেকে শুরু করে ২০২০ পর্যন্ত খেলেছেন উলভারহ্যাম্পটনে। সবমিলিয়ে ২৩টি গোল করেছেন জোটা। তারপর সই করেন লিভারপুলে। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত লিভারপুলের জার্সিতে ৪৭টি গোল করেছেন। তারপর মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিভে যায় জোটার জীবন দীপ। জোটার সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িতে ছিলেন তাঁর ভাইও। দু'জনেরই মৃত্যু হয় দুর্ঘটনায়।
বছরের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে ইপিএলে মুখোমুখি হয় জোটার দুই ক্লাব-লিভারপুল এবং উলভস। জোটার মৃত্যুর পর এই প্রথমবার। সেই ম্যাচের ম্যাসকট হিসাবে বেছে নেওয়া হয় প্রয়াত পর্তুগিজ ফুটবলারের দুই সন্তান ডিনিস এবং ডুয়ার্তিকে। ফুটবলারদের সঙ্গেই মাঠে ঢোকে দুই খুদে। বিশেষ এই ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতে ছিলেন জোটার স্ত্রী রুট কার্দোসোও। প্রিয় ফুটবলারকে শ্রদ্ধা জানাতে জোটার ছবি আঁকা বিরাট ব্যানার নিয়ে এসেছিলেন দর্শকরা।
ম্যাচের ২০ মিনিটে জোটার নামে স্লোগান দিয়ে, হাততালি দিয়ে দর্শকরা স্মরণ করেন প্রিয় ফুটবলারকে। গান গেয়ে ওঠেন লিভারপুল সমর্থকরা। লিভারপুলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন রায়ান গ্রাভেনবার্চ। গোলের পর অবিকল জোটার ভঙ্গিতে সেলিব্রেশনে মাতেন তিনি। ইতিমধ্যে জোটার স্মরণে ২০ নম্বর জার্সি তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিভারপুল।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার দিন ভাই আন্দ্রে সিলভার সঙ্গে একটি সুপারকারে চেপে যাচ্ছিলেন দিয়োগো। চলাকালীন একটি গাড়িকে ওভারটেক করা চেষ্টা করেন তাঁরা। সেই সময়ে আচমকাই গাড়ির একটি চাকা ফেটে যায়। রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে যায় গাড়িটি, দাউদাউ করে আগুন ধরে গিয়ে গাড়িটি একেবারে চুরমার হয়ে যায়। উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠালে দিয়োগো এবং আন্দ্রেকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
