স্টাফ রিপোর্টার: এবার মহামেডান কর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার হুমকি দিলেন বাঙ্কারহিল কর্তা দীপক কুমার সিং। শনিবার সংস্থার স্যোশাল মিডিয়ায় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন দীপক। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, “শুক্রবার ক্লাবের তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে যে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছিল বাঙ্কারহিল কর্মীদের নিয়ে, তার নিন্দা করার পাশাপাশি ক্লাবের কাছে এই মন্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে । তাদের এমন মন্তব্যে আমাদের সংস্থা এবং সেখানকার কর্মীদের মানহানি হয়েছে।”
বাঙ্কারহিল ডিরেক্টরের এই পোস্টের পরই শোরগোল পড়ে যায়। তিনি এখানেই থেমে থাকেননি। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ক্লাবের তরফ থেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতেও বলা হয়েছে সেই নোটিসে। ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। শ্রাচি কর্তা রাহুল টোডি ও তমাল ঘোষালকে পাশে নিয়ে মহামেডান সভাপতি আমিরউদ্দিন ববি, কার্যকরী সভাপতি কামারউদ্দিন আহমেদরা এক সংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানেই এক প্রশ্নের উত্তরে মহামেডান সভাপতি আমিরউদ্দিন ববি বলেন, ‘‘শ্রাচি গ্রুপকে ভুল পথে পরিচালিত করে অর্থ নিচ্ছে অন্য ইনভেস্টার বাঙ্কারহিলের কিছু লোক।’’
মহামেডান সভাপতি সেদিন এক জায়গায় বলেছিলেন, “বাঙ্কারহিলের কিছু লোকজন যুক্ত ছিল, তাঁদের কাছ থেকে হিসাবপত্র নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু এসেছে। কোনও আইনি পদক্ষেপ যদি নেওয়ার হয় তাহলে আমরা নেব। ভাববেন না ক্লাবকে হেনস্থা করবে। এভাবে ইনভেস্টার চলে যাবে। প্রয়োজনে লিগাল সেল দিয়ে এফএইআর করা হবে। ভুল পথে চালিত করে যেভাবে অর্থ নেওয়া হয়েছে তা ছাড়ছি না।” যদিও এদিন আবার আমিরউদ্দিন ববি জানিয়েছেন, এই হিসাব গরমিলের তথ্য তাঁকে দিয়েছেন শ্রাচি কর্তারাই। এদিন তিনি আরও যোগ করেন, “এই বিষয়টা আমাকে বলেছেন শ্রাচি কর্তারা। পুরো বিষয়টা ওদের দু’পক্ষের। আমরা যদি প্রমাণ পাই, তাহলে পদক্ষেপ নেব বলেছি। আর এই নোটিস নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। বরং এই ঘটনায় দলে প্রভাব পড়তে পারে।”