প্রসূন বিশ্বাস: বুধবারই এফএসডিএলকে চিঠি দিয়ে ইনভেস্টর শ্রাচি জানিয়ে দিয়েছিল, আশ্বাস মতো শেয়ার না পাওয়ায় মহামেডানের আর দায় নেবে না তারা। এফএসডিএলকে করা ই-মেলে 'সিসি' করা হয়েছিল মহামেডান ও এআইএফএফকে। শ্রাচির এই চিঠির খবর পেয়েই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্লাব তাঁবুতে জরুরি বৈঠকে বসেন সাদা-কালো কর্তারা। বৈঠক শেষেই ফেডারেশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সুপার কাপে খেলবে মহামেডান।
ক্লাব সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি জানিয়েছেন, বৈঠকে বসার আগে তিনি শ্রাচি কর্তা রাহুল টোডির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয় দু-এক দিনের মধ্যেই চুক্তি সম্পন্ন করে শেয়ার হস্তান্তর করে দেওয়া হবে। অন্যদিকে, মহামেডান রিজার্ভ দলের কোচ হাকিম সেগেন্ডো-সহ অ্যালেক্সিস, জুডিকা, কাসিমভ ও মাফেলা বেতন না পেয়ে ফিফায় অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই নিয়েও বৃহস্পতিবার আলোচনা হয়। মহামেডান সভাপতি জানান, ফেডারেশনকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁরা সুপার কাপে খেলছেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার এফএসডিএলকে চিঠি দিয়ে সরাসরি শ্রাচী জানিয়ে দিয়েছিল, আর মহামেডানের কোনও দায়ভার নেবে না শ্রাচি স্পোর্টস। বুধবার থেকেই অনুশীলনে নামার কথা ছিল মহামেডান ফুটবলারদের। কিন্তু এই চিঠিতে ডামাডোল বেঁধে যায়। এই চিঠি পাওয়ার পরই বৃহস্পতিবার বিকালে ক্লাবে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বৈঠক ডাকেন মহামেডান শীর্ষ কর্তারা। সুপার কাপ না খেললে আর্থিক জরিমানা হতে পারে, এমন আশঙ্কা দেখা যায় সাদা-কালো শিবিরে।
'পত্রবোমা'র পর শ্রাচি স্পোর্টসের কর্তা তমাল ঘোষাল বলেছিলেন, “আমরা এখনও শেয়ার হাতে পাইনি। চুক্তি হয়নি। দিনের পর দিন আজ শেয়ার পাব, কাল পাব এই খেলা দেখছি। এভাবে আর আমরা লগ্নি করতে পারব না। সেকথাই এফএসডিএলকে জানিয়ে দিয়েছি। এমন পরিস্থিতিতে আর এই দল নিয়ে আমাদের কোনও দায় নেই সেকথাই এফএসডিএলকে বলে দিয়েছি।” তবে বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর সেই জটিলতা কেটেছে বলেই মহামেডান কর্তাদের মত। যদিও শ্রাচীর তরফে এখনও এই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।