প্রসূন বিশ্বাস: গতবারের পুনরাবৃত্তি কি এবারও হবে? সবকিছু ঠিক থাকলে তারজন্য আইএসএলের আরও তিনটে ম্যাচের দিকে চেয়ে থাকতে হবে মোহনবাগানকে। মঙ্গলবার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে হাবাস ব্রিগেড সেই তিন ম্যাচের প্রথম ম্যাচে নামতে চলেছে। অর্থাৎ, এদিন আইএসএল সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি। জেসন কামিন্স, দিমিত্রি পেত্রাতোস, জনি কাউকোরা এই মুহূর্তে দুরন্ত ফর্মে। যে ফর্মের আঁচ ইতিমধ্যেই মুম্বই ম্যাচে পাওয়া গিয়েছে। তাই, মঙ্গলবারের ম্যাচ নিয়ে আশা করতেই পারেন সবুজ-মেরুন (Mohun Bagan) সমর্থকরা।
ইতিমধ্যেই লিগ শিল্ড চলে এসেছে ঘরে। এখনই তা নিয়ে মাতামাতি করতে নারাজ তা আগেই বলে দিয়েছেন মোহনবাগান কোচ আর ম্যানেজমেন্ট। কেন মাতামাতি করতে চাইছেন না আন্তোনিও লোপেজ হাবাস, তার কারণ সহজেই অনুমেয়। শিল্ডের পর এখন তাঁর লক্ষ্য ফোকাস ঠিক রেখে আইএসএল ট্রফি জয়। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে হলে প্রথমে আজ কলিঙ্গ জয়। তার পর ২৮ এপ্রিল যুবভারতীতে এই ওড়িশার বিরুদ্ধেই সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ থেকে ফাইনালের ছাড়পত্র জোগাড় করতে হবে পেত্রাতোসদের। এমন পরিস্থিতিতে দলের কোচ হাবাস চাইছেন সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে নামার আগে প্রথম লেগের ম্যাচ জিতে সুবিধাজনক জায়গায় চলে যেতে। কলকাতা ছাড়ার আগে মোহনবাগান কোচ বলে যান, “লিগ পর্বের ম্যাচগুলো যেমন দায়িত্ব নিয়ে খেলেছি, একই মানসিকতা নিয়েই এই ম্যাচটাতেও মাঠে নামতে হবে। প্রথম পর্বের ম্যাচের ৯০ মিনিটেই ভালো ফল করতে হবে আমাদের।’’
[আরও পড়ুন: ভোটের আগে নয়া সমীকরণ পাহাড়ে, বিজেপিকে সমর্থন কংগ্রেসের বিনয় তামাংয়ের]
প্রতিপক্ষের কোচ সার্জিও লোবেরাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন হাবাস। গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রাক্তন ছাত্র রয় কৃষ্ণকেও। তবে প্রতিপক্ষ হিসাবে খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজটা কঠিন করতে চাইছেন না তিনি। বলেন, “ম্যাচের আগে ও পরে অবশ্যই কৃষ্ণকে জড়িয়ে ধরব। তবে এই মুহূর্তে আমি ভাবতে চাই আমার দল নিয়ে। মাথায় রাখতে হবে ও এখন বন্ধু নয় প্রতিপক্ষ।” নক আউট পর্বে ওড়িশা এফসি কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে এক গোলে পিছিয়ে গিয়েও দারুণভাবে ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠে এসেছে। ম্যাচে কৃষ্ণর ভূমিকাও অনস্বীকার্য। এমন পরিস্থিতিতে যে ঘরের মাঠে দিয়েগো মরিসিওরা জ্বলে উঠবেন তা বলাই বাহুল্য। তার উপর তাঁদের কোচ সার্জিও লোবেরাও এই সেমিফাইনালে উঠে আসার পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছেন। সব কিছু ভাবনাচিন্তা করেই এই ম্যাচকে কঠিন ম্যাচ হিসাবে দেখছেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। তিনি বলেন, “ওরা কঠিন প্রতিপক্ষ। ওদের একজন সার্জিও লোবেরা রয়েছে। তাই বলতে পারি কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে। তবে আমরাও জয়ের মানসিকতা তৈরি করে ফেলেছি।”
রবিবারই তিনি জানিয়েছিলেন সাহাল আবদুল সামাদ একশো শতাংশা ফিট। দলের সঙ্গে অনুশীলনও করেন সামাদ। তবে এই ম্যাচে কার্ড সমস্যার জন্য পাওয়া যাবে না ব্রেন্ডন হ্যামিলকে। দলের বাকিরাও সুস্থ। তবে সদ্য লিগ শিল্ড জয়ের সুবাদে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠলে খেলায় প্রভাব পড়তে পারে পেত্রাতোসদের। সেদিকেও নজর হাবাসের। একইসঙ্গে ওড়িশার গরম কিছুটা হলেও তাঁকে ভাবাচ্ছে।