সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোহনবাগান ক্লাব চত্বরে সেনাবাহিনীর হানা। ভাঙা পড়ল দিন কয়েক আগে তৈরি হওয়া অস্থায়ী কিয়স্ক। লোগো লাগানো মার্চেন্ডাইজ বিক্রির জন্য ক্লাব চত্বরের সামনেই ওই কিয়স্কটি তৈরি করা হয়েছিল। সেটাই এদিন ভেঙে দিয়েছেন সেনাকর্মীরা। শুধু তাই নয়, ক্লাবের আশেপাশের বেশ কিছু ফ্লেক্স এবং ব্যানারও সরানো হয়েছে।
এমনিতে গোটা ময়দান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন। তাই ময়দানের ক্লাবগুলির কোনও স্থায়ী নির্মাণ করতে গেলে বা কোনওরকম খোঁড়াখুঁড়ি করতে হলে সেনার অনুমতি নিতে হয়। প্রতিবছর ১ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ময়দানের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় সেনার হাতে। ওই সময় ময়দানের ক্লাবগুলির নির্মাণ পর্যালোচনা করা হয়। অনুমতিবিহীন কোনও নির্মাণ হলে সেটা ভেঙে দেওয়া হয়।
দিন কয়েক আগে মোহনবাগান ক্লাব চত্বরে একটি অস্থায়ী মার্চেন্ডাইজ শপ খোলা হয়েছে। কোনও স্থায়ী নির্মাণ নয়, সেটা আসলে অস্থায়ী কিয়স্ক ছিল। কিন্তু শুক্রবার সকালে আচমকা সেনার আধিকারিকরা ক্লাব চত্বরে হানা দেন। এবং অস্থায়ী কিয়স্ক ভেঙে দেওয়া হয়। ক্লাব তাঁবুতে কিছু নির্মাণকাজও চলছিল। সেটাও থামিয়ে দেওয়া হয়। কয়েকটি ফ্ল্যাগ এবং ফেস্টুনও ভেঙে দেওয়া হয় বলে খবর।
এ নিয়ে মোহনবাগান কর্তাদের কোনও বিবৃতি এখনও পাওয়া যায়নি। তবে ক্লাব সমর্থকরা ক্ষুব্ধ। ইতিমধ্যে মোহনবাগানের একাধিক ফ্যান ক্লাবের তরফে এ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করা হয়েছে। সমর্থকদের বক্তব্য, এভাবে ক্লাব চত্বরে ভাঙচুর করার আগে সমর্থকদের আবেগের কথা ভাবা উচিত ছিল সেনার। সূত্রের খবর, ভাঙচুরের খবর পেয়ে ক্লাব কর্তারা আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ভুল বোঝাবুঝি মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।