প্রসূন বিশ্বাস: সাম্প্রতিক সময়ে ডার্বি মানেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে জয় লাভ করেছে মোহনবাগান। সেটা বড়দের হোক বা ছোটদের। তবে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভলপমেন্ট লিগে গোলশূন্য ড্র হল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ। অসংখ্য গোলের সুযোগ তৈরি করেও ফায়দা তুলতে পারল না সবুজ-মেরুনের ছোটরা। তবে নৈহাটিতে ড্র করেও পূর্বাঞ্চল থেকে পরের রাউন্ডে চলে গেল দুই প্রধানই। সেই সঙ্গে পরের রাউন্ডে গেল ডায়মন্ড হারবারও।

এই ড্রয়ের ফলে ৫ ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট দাঁড়াল ১১। সেখানে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট হল ৮। অন্যদিকে এই গ্রুপের ডায়মন্ড হারবার এফসি ৬-১ গোলে হারায় ইউনাইটেড স্পোর্টসকে। যার ফলে তাদেরও পয়েন্ট দাঁড়ায় ৮। মহামেডানকে ২-০ গোলে হারায় ওড়িশাও। কিন্তু মুখোমুখি লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গল জিতেছিল বলে পরের রাউন্ডের ছাড়পত্র পেল লাল-হলুদ। সেই সঙ্গে প্রথমবার নেমেই RFDL-এ পূর্বাঞ্চলের বাধা টপকে পরের রাউন্ডে গেল ডায়মন্ড হারবার।
নৈহাটিতে এদিনের ডার্বিতে ম্যাচ জিততে পারত মোহনবাগান। গোটা ম্যাচ জুড়ে আধিপত্য বজায় রেখেছিল সুহেল ভাটরা। গোটা ম্যাচ জুড়ে গোল মুখে কোনও শট করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। সেখানে ৫টি শট ছিল মোহনবাগানের। বল পজিশনেও এগিয়ে ছিল ডেগি কার্ডোজোর ছেলেরা।
এর মধ্যে ৫৩ মিনিটে মোহনবাগানের সেরটোর গোল বাতিল করা হয়। কর্নার থেকে ভাসানো বল হেডে নামিয়ে দেওয়ার হয় তাঁর পায়ে। সেরটোর দূরপাল্লার শট জালে জড়িয়ে যায়। কিন্তু তার মধ্যেই বাঁশি বাজিয়ে গোল কিকের নির্দেশ দেন রেফারি। হেড করার সময়ই বল মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিল। ম্যাচের শেষ দিকে ডানদিক থেকে ক্রসে সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের সামনে। কিন্তু সুহেল জায়গা মতো পৌঁছতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র হল যুব ডার্বি।