সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হওয়ার কথা ছিল ফুটবলের উৎসব। যা পরিণত হল ভয়াবহ দাঙ্গায়। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনা ও চিলির দুই ফুটবল ক্লাবের মধ্যে ম্যাচ বন্ধ হয়ে গেল ধারালো অস্ত্রের রক্তাক্ত আক্রমণে। অন্তত ৩ জন মারা গিয়েছেন বলে খবর। গুরুতর আহত ২০ জন। পুলিশ ইতিমধ্যেই ১০০ জনকে আটক করেছে বলেছে জানা যাচ্ছে।
বুয়েনস আইরেসে কোপা সুদামেরিকানা টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনার ইন্ডেপেন্ডিয়েন্তের সঙ্গে ম্যাচ ছিল ইউনিভার্সিদাদ দে চিলির। প্রথম লেগের ম্যাচে চিলির ক্লাব ১-০ গোলে জিতেছিল। আর্জেন্টিনার মাটিতে ম্যাচের ফলাফল যখন ১-১, তখন আচমকা ঝামেলা শুরু হয়। জানা যাচ্ছে, চিলির ক্লাবের সমর্থকরা লাঠি, পাথর, বোতল, এমনকী আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ইন্ডেপেন্ডিয়েন্তের সমর্থকদের দিকে আক্রমণ শুরু করে। জবাবে আর্জেন্টিনার ক্লাবের সমর্থকরাও পালটা আক্রমণ করে। যা থেকে বাঁচতে চিলির সমর্থকরা স্টেডিয়াম থেকে লাফ দেন। অনেকে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের হাতে প্রবল মার খান।
দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ নামানো হলেও অবস্থার সেভাবে উন্নতি হয়নি। তিনজন সমর্থক মারা গিয়েছেন বলে খবর। আর্জেন্টিনার নিরাপত্তা মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, "আমরা ৯০ জনের বেশি লোককে স্টেডিয়ামের বাইরে থেকে আটক করেছি। তারা স্টেডিয়ামের বাইরে ঝামেলা বাঁধানোর চেষ্টা করছিল।" এখনও অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। অন্যদিকে পালটা দিয়েছেন চিলির ক্লাবের কর্তা ফেলিপে লয়োলা। তিনি বলেছেন, "এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমি জানি না, পুলিশ তখন কোথায় ছিল।" ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও গোটা ঘটনার প্রতিবাদ করে বার্তা দিয়েছেন, "ফুটবলে এই ধরনের হিংসার কোনও ঠাঁই নেই।" যদিও দুই পক্ষের মধ্যে দোষারোপ চলছেই।
দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলে এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা নতুন কিছু নয়। চলতি বছরের এপ্রিলে কোলো কোলো ক্লাবের ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলায় ২ জন মারা যান।
