সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের ধ্বংসস্তূপ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল চেলসির প্রাক্তন ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ার আতসুকে। এমন খবরই ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এবার জানা গেল, ভূমিকম্পের পরে বেশ কয়েকদিন নিখোঁজ থাকার পর মৃত্যু হল তাঁর। আতসুর এজেন্টই এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
ভূমিকম্পের ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আগে হাতাইস্পোরের হয়ে পরিবর্ত হিসেবে খেলতে নেমেছিলেন আতসু (Christian Atsu)। খেলা যখন অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়, তখন ঘানার জাতীয় দলের ফুটবলার হাতাইস্পোর ক্লাবের হয়ে গোল করেন। তাঁর গোলেই কাসিমপাসাকে হারায় হাতাইস্পোর। সমর্থকদের নয়নের মণি হয়ে ওঠেন আতসু। সেই জয়ের রেশ মিটতে না মিটতেই প্রকৃতির রোষের মুখে পড়ে তুরস্ক। ধ্বংসস্তূপের গর্ভে আটকে পড়েন ঘানার জাতীয় দলের ফুটবলারটি। জানা গিয়েছিল, পরে তাঁর খোঁজ মেলে। উদ্ধার করা হয় তাঁকে। পাঠানো হয় হাসপাতালে। কিন্তু একদিন পরই বদলে যায় সেই খবর। তাঁর এজেন্ট জানান, হাতাইয়ে বসে আতসুর বাড়ির লোকেশন ট্র্যাক করেছিলেন তিনি। যা ভূমিকম্পের কবলে পড়ে। পরে সেখান থেকে শুধু একজোড়া জুতো উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে অবশেষে ওই ফুটবলারের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: এক ১৮ নম্বরকে অন্য আঠারোর ‘উপহার’, মহিলা RCB দলের অধিনায়ক ঘোষণা কোহলির]
আতসুকে খুঁজতে তাঁর ক্লাব হাতাইস্পোর পাশে দাঁড়ায়নি বলেও অভিযোগ জানান ওই এজেন্ট। তাঁর কথায়, “খুবই দুর্ভাগ্যের যে আতসুকে খোঁজার কোনও চেষ্টাই করেনি তুরস্কের ক্লাবটি। অথচ স্থানীয় ক্লাব হিসেবে ওদের জ্ঞান আর তথ্য অনেক কাজে লাগত। ওকে উদ্ধারের ক্ষেত্রে যা বিশেষ সাহায্য় করত।” গত মঙ্গলবার এজেন্ট জানিয়েছিলেন, ৯দিন হয়ে যাওয়ার পরও আতসুর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে প্রায় দু’সপ্তাহ পর ধ্বংসস্তূপে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি। বর্তমানে তিনি আতসুর পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন। ফুটবলারের মৃত্যুতে পরিবারকে জানিয়েছেন সহানুভূতি।
উল্লেখ্য, তুরস্কের ভয়ংকর ভূমিকম্পে অন্তত ৪৪ হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে। তবে উদ্ধার কাজ শেষ বলেই জানা গিয়েছে। দেশে ফিরছে ভারতের তরফে পাঠানো উদ্ধারকারী দলও।