নিরুফা খাতুন: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ (Mocha)নিয়ে আগেই অশনি সংকেত শুনিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। বাংলায় তার কতটা প্রভাব পড়বে? এ নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। ফের কি ‘আমফান’, ‘যশ’-এর মতো আরও এক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের দাপট সামলাতে হবে রাজ্যকে? আশঙ্কার মাঝে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) মালদহের বৈঠক থেকে জানিয়েছিলেন, সম্ভবত বাংলায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না ‘মোকা’। তা সত্ত্বেও বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি চলছে। বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে সেচ ও কৃষি দপ্তর। আর শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, শনিবার থেকে ঘনীভূত হওয়া নিম্নচাপটি মঙ্গলবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হবে, যার অভিমুখ বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে শুক্রবার সকালে জানানো হয়েছে, আজ থেকে রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। তবে দু’একটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা কম দক্ষিণবঙ্গে। তবে ফের অস্বস্তিকর গরম ফিরতে চলেছে। তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ার (Temparature Rise) সম্ভাবনা। শনিবার থেকে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। মঙ্গলবার তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। অভিমুখ বাংলাদেশ ও মায়ানমার। অর্থাৎ বাংলায় তেমন দাপট দেখানোর আশঙ্কা নেই। তবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ‘মোকা’ কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে আন্দামান-নিকোবর (Andaman-Nicober) দ্বীপপুঞ্জে। সেখানে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ মণিপুরে বন্ধ রেল পরিষেবা, সাহায্যের আশ্বাস পড়শি মুখ্যমন্ত্রীদের, উদ্বিগ্ন মমতাও]
কলকাতায় (Kolkata) শুক্রবারও আংশিক মেঘলা আকাশ। বিকেল বা রাতের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। শুক্রবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.২ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৩ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬০ থেকে ৯১ শতাংশ।