নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: খারিফ শস্য (Kharif Crops) ফলনে বাড়তি নজর দিয়েছে কেন্দ্র। দেশের রুক্ষ্ম, শুষ্ক এলাকায় জোয়ার, বাজরার মতো ফসলই কৃষকের মুখে হাসি ফোটায়। আর এবার এই জোয়ার, বাজরাই ঠাঁই পেল সংসদের (Parliament)ক্যান্টিনের মেনুতে। শুধু তাইই নয়, বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়ণের জন্যও খারিফ শস্যের তৈরি রকমারি পদ তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাম্বিয়ার (Jambiya) এক প্রতিনিধিদলকে মধ্যাহ্নভোজে সেই খাবারই খাওয়ানো হল। আর তাঁরাও দিব্যি খুশ সেই খাবার খেয়ে!
সংসদের ক্যান্টিন (Canteen) এমনিতে খুবই পছন্দের সাংসদদের। শুধু তাঁরাই নন, সংসদ ভবনে আসা অতিথিরাও একবার না একবার ক্যান্টিনে খেয়ে যাবেনই। এবার ক্যান্টিনের খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন এসেছে। বছর কয়েক ধরে খারিফ শস্য উৎপাদনে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। কৃষিক্ষেত্রে জোয়ার, বাজরা, রাগির মতো শস্যকে তুলে ধরতে একাধিক পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে। আর ক্যান্টিনের খাদ্যতালিকাতেও ঠাঁই পেয়েছে। জোয়ার, বাজরার তৈরি একাধিক সুস্বাদু খাদ্য যুক্ত হয়েছে মেনু কার্ডে। স্যুপ থেকে শুরু করে স্ন্যাকস – সবেতেই ছোঁয়া রয়েছে খারিফ শস্যের।
নবরূপে সজ্জিত পদেই বিদেশি অতিথিদেরও পাত সাজানো হল ক্যান্টিনে। আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়া থেকে একদল প্রতিনিধি এসেছেন ভারতে। তাঁরা বৃহস্পতিবার গিয়েছিলেন সংসদ ভবন দেখতে। দেখা করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গেও। আর তাঁদের জন্য বিশেষ মধ্যাহ্নভোজের (Lunch) ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের সঙ্গে বসে একই টেবিলে খেয়েছেন কংগ্রেস (Congress) ও তৃণমূলের (TMC) সংসদীয় দলনেতারা। ছিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবেগৌড়া, ফারুক আবদুল্লাও। সূত্রের খবর, বিদেশি অতিথিদের মেনুতে ছিল জোয়ার, বাজরার তৈরি রকমারি সুস্বাদু পদ। আর তা খেয়ে বেশ তারিফ করলেন জাম্বিয়ার প্রতিনিধিরা।
[আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় আসন বদল, একেবারে শেষ সারিতে জায়গা পেলেন মনমোহন সিং]
আসলে আফ্রিকার পরিবেশের সঙ্গে খারিফ শস্যের অনেকটাই মিল রয়েছে। উষ্ণ ও শুষ্ক এলাকার ফসল জোয়ার, বাজরা, রাগি। আর এসব ফসলকে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করার বিষয়টি ভারত সরকার কীভাবে করছে, তা আফ্রিকার (Africa) দেশ জাম্বিয়ার কাছে শিক্ষণীয়ও বটে।