সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসলামি সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি (ED)। সব মিলিয়ে ৬৮ লক্ষ ৬২ হাজার টাকারও বেশি পরিমাণ অঙ্কের টাকা ছিল ওই অ্যাকাউন্টে। তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সামনে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। জানা গিয়েছে, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি থেকে অর্থসাহায্য আসত ওই সংগঠনের জন্য।
CAA বিরোধী আন্দোলন থেকে দিল্লি হিংসা- বারবার উঠে এসেছে এই সংগঠনের নাম। ২০০৬ সালে গঠিত এই সংগঠনটি তৈরি হয়েছিল মুসলিমদের আর্থ-সামাজিক উন্নতির দিকে লক্ষ্য রেখেই। কিন্তু গোড়া থেকেই বিতর্ক সঙ্গী এই সংগঠনটির। এবার তাদের অসংখ্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হল। আর সেই সঙ্গেই সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য়।
[আরও পড়ুন: আগামী বছর মাধ্যমিক শুরু ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে, দেখে নিন ২০২৩-এর পরীক্ষাসূচি]
সংগঠনটির নথি ঘেঁটে দেখা গিয়েছে সেখানকার এক সদস্য কে এ রাউফের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল ১ কোটি টাকা। রাউফ যে সংস্থায় কাজ করতেন, সেখানকার চার কর্তার মধ্যে দু’জন চিনের নাগরিক। ২০১৯ ও ২০২০ সালে চিনে গিয়েছিলেন রাউফ। সেই সময়ই ওই টাকা পেয়েছিলেন। টাকাটি তাঁর ভারতীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি তেমনই। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ভারতে অশান্তি ছড়াতেই চিন এইভাবে টাকা ছড়ায়। দেশে এর আগেও এই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে।
স্বাভাবিক ভাবেই নতুন করে আরও বেশি বিতর্কে জড়িয়েছে পিএফআই। সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে, সেই সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে। যদিও সংগঠনটি ইডির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। তাদের সংঘ পরিবারের ‘বিভাজনমূলক রাজনীতি’র বিরুদ্ধে ‘অনমনীয় মনোভাব’ দেখানোর কারণেই তাদের ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারই সংগঠনের তরফে পেশ করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই তাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকেই তা করা হচ্ছে বলেই দাবি তাদের।
[আরও পড়ুন: ‘প্রত্যেক মসজিদে শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব খোঁজার দরকার কী?’, জ্ঞানবাপী বিতর্কে উলটো সুর RSSপ্রধানের]
২০০৬ সালে কেরলে গঠিত হয় পিএফআই। কিন্তু তাদের সদর দপ্তর দিল্লিতে। প্রথমে দক্ষিণ ভারত, পরে উত্তর ভারতেও তাদের সক্রিয়তা বেড়েছে। এখন দেখার, এবার সংগঠনটির বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ করার মতো কোনও পদক্ষেপ করে কি না মোদি সরকার।